হুট করে ঘুম ভেঙে দেখি ঘড়িতে মধ্য রাত!তবে,নিশ্চয় গাঢ় অন্ধকারে ডুবে গেছে চারপাশ।
আঁচমকা চোখ মেলি,কেনো এতো আলো?
আবছা কুয়াশা কেটে স্পস্ট সকাল,
দেখি,আমি আছি পুরোনো স্কুলের বারান্দাটায়!
এ এক অদ্ভুত টাইম ট্রাভেল।
একরাশ বিষ্ময়ে হাত রাখি ধুলো পরা বেঞ্চটাতে,তাকাই গ্রীল ভাঙা জানলাটার দিকে।
দেখি ব্লাক বোর্ডটায় অসমাপ্ত অংক টা চোখ পাকিয়ে বলে কিরে,অংকে কি এখোনো তুই কাঁচা?
যদিও, ফ্লোরে করা আলপনা আবছা হয়ে এসেছে।কিন্তু স্মৃতি গুলো ধীরে ধীরে জোড়ালো থেকে জোড়ালোতর হয়।
পৌষের শীতে খড় জড়ো করে আগুন পোহানো, ফেব্রুয়ারির রোদে মাঠ জুড়ে দৌড়ে বেড়ানো,প্রতি বর্ষায় ক্লাসে জুড়ে আড্ডার রোল!
পরিচিতো মুখগুলো নির্দয় ভাবে আড়াল হয়ে যায়।”মনে পরে শেষবেলায় এসে শেষের বেঞ্চিতে বসা জুবুথুবু ছেলেটাকে,সে ছাপ রেখে চলে গেলো ফিরে তাকায়নি আর”।এইখানে তুমি পাবে বোকাসোকা সাধারন মেয়েটার তৃপ্তিভরা নিশ্বাসদের।সময়ের নিষ্ঠুরতায় তারা জান্নাত হারায়।