বুকের ভেতর সারাক্ষণ এক অস্থিরতা
এই যে তোমাকে কাছে না পাওয়া
তোমাকে সারাক্ষণ দেখতে না পারা
মন চাইলে তোমাকে ছুঁতে না পারা
তোমার মুখে আমার নাম ধরে ডাক শুনতে না পাওয়া
এসব কিছুই এক জমাটবাঁধা অস্থির কষ্টের জন্ম দেয়।
সমস্ত আকুলতা কুন্ডলী পাকিয়ে
বুকের বামপাশে এসে জমে থাকে
ভীষণ অসহ্য লাগে তখন
অসহনীয় যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকি।
রক্তচাপ কখনো ঊর্ধ্বগামী কখনো নিন্মগামী
হৃদস্পন্দন ওঠানামা করে দ্রুত
মনে হয়, এই এক্ষুনি যেন মৃত্যু হবে
এক্ষুণি দু'চোখ ভেঙে আঁধার নামবে
অস্থিরতা বাড়তে থাকে ক্রমশ
চোখে ভাসে সারিবদ্ধ কথা
অজস্র ফেলে আসা দিন
অবারিত স্মৃতির প্রহর।
তোমার মুখটি ভাসে।
স্নিগ্ধ, কোমল, শান্ত সে মুখ
মনে করিয়ে দেয়, এখনো সময় হয়নি।
এখনো তো কত পথ বাকি!
কত স্বপ্ন, কত প্রতিশ্রুতি, কত না বলা কথা সব কিছুই তো বাকি।
এত তাড়াতাড়ি হেরে গেলে চলবে!
এই হাত দুটো ধরে কোন এক পড়ন্ত বিকেলে অচেনা এক পথ ধরে অনেকটা হেঁটে যাওয়ার কথা ছিলো।
কথা ছিলো মাঝনদীতে নৌকা থামিয়ে পানির সাথে আকাশের সঙ্গম দেখবো।
গোধুলির রঙ মেখে, নিবিড় ভালোবাসার প্রগাঢ় চুম্বনে এক ঝলমলে সন্ধ্যা নামাবো।
তিমির অন্ধকারে জল জোছনায় দুজন অনিন্দ্য সুখে ভাসবো।
তারপর রাত্রির নিরবতায় শরীরে শরীর মেখে প্রলয়ঙ্কারী আবেগে দুজন হারাবো।
উষ্ণ প্রভাত হয়ে স্বপ্নরা উঁকি দেবে ঘরের দরোজা জানালায়।
এসব কিছুই আমাকে ফিরিয়ে আনে,
টেনে নিয়ে আসে অন্য জীবনে।
আমি আবার শুরু থেকে শুরু করি
মরতে মরতে আমি আবার বেঁচে উঠি
শুধু এই আশায়.......
তোমার সাথে জীবনের অন্তত একটা সম্পূর্ণ দিন বাঁচতে চাই