মৌনমুখে দুঃখের কালো অন্জলি নিয়ে আজ ও আমি পূজারি তোমার,
পূজার ঘন্টা অর্হনিশ বাজিয়েছি তোমার ঐ মন্দিরে ।
তবুও তুমি র্নিবাক,নিশ্চুপ, কালো মায়াবী মূর্তি ।
তোমার ঐ মায়ার টানে বার বার বাজিয়েছি শঙ্গ, তুমি শুনতে পাওনি ।

মাসের পর বছর, তারপর বারো মাসে তারো পার্বন,
একে একে সবই চলে গেলো তোমার প্রতিক্ষায় ।
অন্জলির ফুল সুকিয়ে, গজিয়েছে নতুন চারা
তবু তুমি জাগোনি 'কামিনীবাসিয়া' ।

আমি চাইনা তুমি আমায় আবার ভালোবাসো,
আমি চাই তোমার ভালোবাসার দাসত্ব থেকে মুক্তি পাক আমার হৃদয় ।
মুক্তি পাক আমার প্রতিক্ষার ক্লান্ত সময় ।
মুক্তি পাক আমার হৃদয়ে লালিত, তোমার প্রতি আমার ভ্রান্ত বিশ্বাস ।

আমি সুখ কাঁটায় গেথে, দুঃখ রখেছি পদ্ন পাতায়
রাতের আধাঁরে দিশেহারা হয়ে উড়ে, যাওয়া দুটি কবুতর আবারও ফিরেছে ।
আধমরা মেহেদি গাছের ডালে ফুটেছে কচি পাতা !
তুমি জাগোনি, একবার ও চোখ মেলে দেখলে না অপেক্ষ্যমান এই পূজারি কে ।

আজ আমার শেষ সময়,
আমার সবকিছু তোমাতে বির্সজিত । আমি চাই তুমি ফিরে আসো পুর্নবার,
আর আমি ফিরে যাই প্রসাদের শূন্য এটো থালা হাতে ।