তুমি মন্দির, মসজিদ বানাও আমার ওসবে স্পৃহা নাই,
আমি খালি হাতে ভিখারির  তরে শুধু একটা পৃথিবী চাই।
তুমি নামাজ পড়ো নয়তো ঘন্টা বাজাও, ধার্মিক হবে,
ধর্মের ইতিহাস বড্ড নিষ্ঠুর, রক্ত ঝরবে নয়তো ঝরাবে।
তোমায় মানুষ করেছে বিধি, নিজেকে মানুষ করেছো ভাই?
তুমি মন্দির, মসজিদ বানাও আমার ওসবে স্পৃহা নাই।

সেদিন বুভুক্ষু এক পথিকের আত্মাহুতি দেখলাম চোখে,
মানুষের পৃথিবীতে মানুষ মরে অনাহারের চরম শোকে।
সহসা পথিককে জিজ্ঞাসা তুমি নামাজ পড়েছো ভাই?
চোখে মুখে অশ্রু, বলে আমি ভুখা অন্নের তালাশে যাই।
আগে সবার অন্ন জুটুক, পেটের যন্ত্রণার বিনাশ ঘটাই,
তুমি মন্দির, মসজিদ বানাও আমার ওসবে স্পৃহা নাই।

যেদিন গ্ৰামের অসহায় মেয়ের  ঝুলতে দেখেছি লাশ,
দুমুঠো অন্ন জুটাতে ফিরে আসেনি আর; হয়েছে বিনাশ।
অসহায় পিতার ক্রন্দন কেউ শুনেনি, শাবাস! শাবাস!
ওঁদের বিচার হবে মহাকালে, স্বাক্ষী থাকুক ইতিহাস।
আমি মানুষ, দাঁড়াও মানুষের তরে দুফোঁটা অশ্রু ঝরাই,
তুমি মন্দির,  মসজিদ বানাও আমার ওসবে স্পৃহা নাই।

তুমি কপাল ঠুকেছো এক যুগ, স্রষ্টার পেয়েছো সন্ধান?
সৃষ্টিকে করেছো ঘৃণা,  যেথায় স্রষ্টা চির বিরাজমান।
রাস্তার ময়লা পরিষ্কার করেছো, অন্তর করোনি পবিত্র,
আগে মানুষ হ'ও অমনি খোঁজে নেবে কী তোমার গোত্র।
তুমি মানুষ নাকি অমানুষ হবে কভু করেছো যাচাই?
তুমি মন্দির, মসজিদ বানাও আমার ওসবে স্পৃহা নাই।

************** **************