এইটা কোনো পড়া হলো, এইটা কোনো পড়া;
এরচে অনেক সহজ হতো দড়ি দিয়ে মরা।
অংক যেন সূত্র শিখে মুত্র প্রয়োগ করা;
বাস্তবে যার নেই কোনো মিল জীবনটা তাই খরা।
স্বর্গ থেকে বর্গ এসে মর্গে থাকে রোজ;
এই গণিতের জন্ম কোথায় কে রাখে তার খোঁজ।
শিখতে হবে বর্গ-ঘন; শিখতে হবে মূল;
শিখতে গিয়েই জীবনখানি পায় নি খুঁজে কূল।
শিখতে হবে সূচক এবং লগারিদম তার;
কেমন করে শিখব এসব– জীবনটা ছারখার।
এইটা কোনো পড়া হলো, এইটা কোনো পড়া;
এরচে কতই সহজ হতো পাহাড় খনন করা।
সাইন, কোসাইনের অর্থটা কী, কী ত্রিকোণমিতি;
কোণ–বাহুতে ক্যামনে হলো এমন আজব নীতি।
দিনটা পুরো চিন্তা করে পাই না জবাব কিছু;
ডিগ্রি কোণের বিক্রি করে ছাড়ব এদের পিছু।
তিনশত ষাট ডিগ্রি হলো বৃত্ত কেমন করে;
শেখায় না কেউ এদের জবাব প্রশ্ন ধরে ধরে।
চতুর্ভুজের চার কোণেও তিনশত ষাট ডিগ্রি;
ত্রিভুজে ফের একশ আশি! বাকিটা কি বিক্রি?
একটা কোণে কেমন করে কমলো একশ আশি?
টেনশনে আর ঘুম আসে না টেনশনেতেই ভাসি।
এইটা কোনো পড়া হলো, এইটা কোনো পড়া;
সমীকরণ সমাধানও আজবভাবে গড়া।
সমান চিহ্নের একপাশ থেকে অন্যপাশে গেলে;
অংকগুলো আমার সাথে বিদঘুটে খেল খেলে।
যোগ থাকে তো বিয়োগ এবং বিয়োগ হলেই যোগ;
গুণ-ভাগেরও একই দশা! এ কী আজব রোগ।
কেমন করেই চিহ্নগুলোর পাল্টে যেতে হলো;
কেউ তো আমায় বলো।
এইটা কোনো পড়া হলো, এইটা কোনো পড়া;
উৎপাদকে কোথায় পেল এমন কমন ধরা?
কোথায় হবে মিডল টার্ম, সূত্র প্রয়োগ কোথায়;
এমনতর প্রশ্ন এসে নিত্য কত গুতায়!
স্যারকে যদি প্রশ্ন করি, উত্তরে খাই ঝাড়ি;
এমন করেই ফিরতে হলো ওই পরীক্ষার বাড়ি।
কোনোমতে পাশ করে তাও বেঁচেছি হাঁফ ছেড়ে;
ফের গণিতের নাম শুনি তো আসব দারুণ তেড়ে।
সত্যি এটা পড়া না ভাই; ভাবছ মিছে পড়া;
এরচে অনেক ভালো ছিল হাট্টিমাটিম ছড়া।
পহেলা এপ্রিল, ২০২২
লামা, বান্দরবান।
#