দাবার চালে যাবার তালে মজছি আমি কত;
কিন্তু বাবা দিলেন থাবা বাড়লো বুকে ক্ষত।
সৈন্যগুলো বন্য হয়ে দাঁড়িয়ে আছে থির;
ডেরায় ঢুকে রাস্তা রুখে জমাচ্ছিল ভিড়।
কিস্তিটা তো পারে নি আজ করতে কিস্তিমাত;
হাতির কোণার হাতিয়ারও হলো কুপোকাত।
ঘোড়ার আড়াই লাফ দেওয়াটাও বেকার হলো আজ;
রাণীর কথা বলব কী আর বলতে দারুণ লাজ।
রাজা মশাই দারুণ দশায় চেক খেয়ে যায় রোজ;
চেকের জ্বালায় কেবল পালায়, রয় না কারও খোঁজ।
বাবার সাথে দাবার চালে আটকে গেছি ফের;
চৌষট্টি ঘর যায় হয়ে পর আজকে পেলাম টের।
আমার গুটি ভাঙলো জুটি কঠিন হলো খেলা;
টেনশনে আর হাত চলে না, টেনশনে যায় বেলা।
দিনের পরে দিন চলে যায়, রাতের পরে রাত;
দারুণ দারুণ চাল ভুলে যাই, মাথায় রাখি হাত।
দাবার দাবি থাবা-ই খাবি ভুল যদি দিস চাল;
একটা ভুলের মাশুল দিতেই বুঝবি ভুলের ঝাল।
ক্যাসলিং করাও যাচ্ছে না আর এ কী আজব ফাঁদ;
দাবা খেলা কষ্ট মেলা দাবা খেলা-ই বাদ।
দাবার চালে মজার তালে ছন্দে কাটে ক্ষণ;
বাবার আঘাত পড়লে মনে যায় ভেঙে যায় মন।
দাবা আমার বড্ড প্রিয়, বড্ড ঘৃণায় বাবা;
বাবার চালে জীবন জ্বালে, মারে দুখের থাবা।
দাবার নেশা বাবার নেশা যায় কি ভোলা আর;
দাবার চালে জেতা গেলেও বাবার চালে হার।
৫-ই এপ্রিল, ২০২৩
লামা, বান্দরবান
#