মিষ্টি আমের দাম খুঁজি নি, নাম খুঁজেছি আর;
নামের বাহার দেখতে আমি খাম খুলেছি তার।
খামের ভেতর দেখতে পেলাম হরেকরকম নাম;
সেসব নামের খাম খোলাটাই আজকে আমার কাম।
‘আম্রপালি’ নাম নিয়ে সে দাম দিয়েছে খাসা;
‘ল্যাংড়া’ আমের পা ভেঙেছে, জীবন সর্বনাশা।
‘হাঁড়িভাঙা’ আমগুলো সব ভাঙছে হাটে হাঁড়ি;
‘বারোমাসি’ আম বারোমাস চালায় আপন গাড়ি।
‘ফজলি’ আমে মজলে ভালো, রস দিয়ে যায় ঠাসা;
‘কাঁচামিঠে’ কাঁচা থেকেই মেটায় মনের আশা।
‘হিমসাগর’ আম হিম না শুধু, সাগর সমান রস;
‘বউসোহাগী’ আমকে দেখো, সোহাগ করার বস।
‘মল্লিকা’ আম পাকা হলেই মল্লিকাদির প্রিয়;
‘গোপালভোগ’ আম মিষ্টি হলে গোপাল বাবু নিও।
‘গোলাপখাস’ আম রঙে-ঘ্রাণে গোলাপ ফুলের মতো;
‘খিরসাপাত’ আম খির হলেও দেয় না মোটেও ক্ষত।
চুষেচুষেই খেলে পাবে ‘চোষা’ আমের স্বাদ;
‘গৌড়মতি’ আমেই আছে গৌড়িপুরের ফাঁদ।
‘বৃন্দাবনি’ আম খেতে আজ এলাম বৃন্দাবন;
‘সুন্দরী’ আম সাজবে আজি করছে দারুণ পণ।
‘কলাবতী’ আম খাব আজ কলাপাতায় নিয়ে;
‘নীলাম্বরী’ আমকে দেবো নীলাম্বরেই বিয়ে।
‘রুপালি’ আম দেখায় কত রূপের ঝলক তাহার;
‘জগন্নাথভোগ’ আম যেন ভাই জগন্নাথের আহার।
‘আশ্বিনা’ আম আশ্বিনে কি দেখায় নিজের খেলা?
এমন করেই মেলতে পারি হাজার নামের মেলা।
আমের কসম, নামের খেলায় যাচ্ছি ঘেমে আমি;
তোমার কাছে নামের চেয়ে আম খাওয়াটাই দামি!
চৌঠা মে, ২০২৩
লামা, বান্দরবান।
#