বৃষ্টি মুখর শীতের সকাল বেলায়,
কম্বলের নরম উষ্ণতা ছেড়ে।
খুজিতেছি আমি প্রকৃতির রূপ
দেখিতে পায় পৃথিবীর বন সব ভিজিতেছে।
পাতার আড়ালে বোসা পাখি গুলো সব,
উকিমেরে বৃষ্টি দেখিতেছে।
বৃষ্টির ভয়ে আজ হিংস্র কুকুরও
নাচার হইয়া লুকিয়াছে চায়ের দোকানে বেঞ্চের তলে।
থর থর কাপিতেছে গাছের পাতা গুলো,
খুঁজিতেছে রোদের নরম আভাস।
হলুদ বিচালি গুলো বৃষ্টির ভারে লুটিয়া পড়িয়াছে,
পৃথিবীর বনের আজ লুকোনো বিষ্ময় মেলিয়াছে আমাদের কাছে।
কোন দূর সাগর হইতে আসিয়া মেঘরাশী যেন সূর্য কে আড়াল করিয়া অন্ধকারে নিমজ্জিত করিতে চায়ছে।
শীতল বাতাস করেনি পারিতে স্থির,
তাহার চলার পথ। খেয়ালে চলিয়াছে তাই।
আসিতেছে বৃষ্টি তিব্র বেগে,রোদ্র মেখে,
ধরনীর পদতল ছুইবার তরে।
ভাবিয়াছে বরষা, মাছগুলো হইয়াছে একত্রিত,
করিতেছে সভা, পালাইবার তরে।
লুটিয়াছে মাটিতে, খেতের সোনার ফসল সব,
কৃষকের দল,দিতেছে সান্তনা, খোদার গজব বলে নিজেকে।
নিজেকে ব্যস্ত করে, ফসলের ক্ষেত, আপন দেহে আড়াল করে,
বাঁচিয়াছে ফসলেরে, ঘরে তুলিবার তরে।
আমি বলি চাষা, যাইনিতো কিছু,বৃষ্টির পরে নেবে তুলে।
চাষা বলে বাবু, চলে গেছে সব,সারাবছর কি খাবে আমার ছেলে পুলে ?
ঘরে রইয়াছে এক জন ছেলে, তিনজন মেয়ে,রইয়াছে আমার বৌ।
ক্ষুধায় মরিলেও দেখিবে না একবার দেবেনা যে কেউ।
অসহায় মোরা হইয়াছি চাষা আজ,হয়তো স্রষ্টা দিয়েছে সাজা।
দুখের হৃদয় নিয়ে, অশ্রু ভরা আঁখি দিয়ে দেখি, সোনার ফসল গুলো মাখিয়াছে কাঁদা।
শুনে ভাবি আমি, বানালো সভ্যতা যারা, কঠোর সাধনায়।
আমার অন্ন জোটালো যারা কম্বলের উষ্ণতা ছেড়ে, তারা আজ অসহায়।