মানুষের হাস্যমুখ সময় যাপন করাটা উপভোগ করি—
ভাবছি সকল দুশ্চিন্তা কী আমাকেই ঘিরে রাখে?
এই ভেবে চিন্তামুক্ত হবার জন্য নিজের মুন্ডু কেটে ফেললাম—
কাটামুন্ডু নিয়ে চিন্তা মগ্ন রাষ্ট্র
প্রত্যেহ এমন মুন্ডুপাতের সফলতা নিয়ে আলোচনায় বিশেষ কোনো লাভ হয় না।
পৃথিবী একটা জুয়ার মঞ্চ—যেখানে প্রেমিকাকে বন্ধক রেখে যুদ্ধে যায়
মাতাল সৈনিক। স্ত্রীকে বিক্রি করা হয় কর্পোরেট টেবিলে
আগুনখেকো মানুষের জীবন চাপা পড়ে দায়িত্বের পাহাড়ে—
একজন বিপ্লবী যুবকের মস্তিষ্ক চুষে খায় সমাজ নামক জোক।
স্বাধীনতা মহামূল্য শব্দ যাকে লাভ করতে পেরোতে হয় রক্তের নদী
রাইফেল ছেড়ে যাওয়া আত্নঘাতী বুলেটে প্রস্তুত হয় যার ঝান্ডা
শান্তির ইশতেহার নিয়ে আসে গগনবিদারী যুদ্ধবিমান
প্রবল বিদ্রোহ করা সন্তানের লাশ আসে কফিনে—ওজনে নুইয়ে পড়ে মেরুদন্ড।
প্রভু পৃথিবীর ওজন কত?—
যে পিতা সন্তানের লাশ কাঁধে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাকে প্রশ্ন করো,নির্বোধ কবি।
দুঃখ হয় প্রিয়জনের শোকে কাতর মানুষের চোখের জল মাটিতে পড়ার পূর্বেই
গিলে নেয় সূর্য—গোরস্থান থেকে ফিরবার পথেই ভুলে যায় সকল সফল আত্নাকে।
রাষ্ট্র কী পরাধীনতার শিকল কেটে বেড়িয়ে আসতে পারে?
নিজেকে আপাতত সান্ত্বনা দেওয়া যাবে—
যেহেতু কাটামুন্ডু অবরুদ্ধ মানচিত্রকে নিয়ে ভাববার যোগ্যতা রাখে না।