শহরটি মৃতদের কাঁধে ভর করে চলছে
মানুষগুলোর আদর্শ পরগাছার মতো সুর বদলায়—
শেকড় পাল্টে নেয় দেয়াল থেকে দেয়ালে
এসব পরিহাস নিজেকে নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে এবং ছুড়ে দেয় ঘৃণা।
চব্বিশ পেড়োনো যুবক রাজপথে ব্যানার নিয়ে অনশন করছে
মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিলো—
রাষ্ট্র বিচারে অনিচ্ছুক কারণ ধর্ষিতা বেশ্যা ছিলো
কোনো একরাতে তাকেও রাত্রিবাস ভেজাতে ডেকেছিলো কর্তাবাবু।
ছেলেটি ইন্টারভিউ কক্ষে প্রবেশ করে দেখে—তিনটি শাদা ভাল্লুক চায়ে চুমুক দিচ্ছে
তারা কি রক্তোতপ্ত মাংসের অপেক্ষায়?
টেবিলের উপর রাখা টাকার খাম থেকে বাবার গায়ের গন্ধ আসছে।
একজন উন্মাদ ময়লার স্তুপ থেকে খাবার খুঁজে নিচ্ছে
প্রেমিকাকে অন্যের স্ত্রী হবার শোক তাকে মানসিক মুক্তি দিয়েছে—
বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রই তার মৃত্যুদন্ডাদেশ ছিলো ভেবে এখনো জল ফেলে প্রিয় স্থানগুলোতে—
উন্মাদেরা কি তুখোড় স্মৃতিসম্পন্ন নয়?
তারা কেউই রাষ্ট্রের অবতার হবার যোগ্য নয়—
কারো বড় মাথা ছিলো না
তারা সকলেই মৃত্যুর সন্মুখে মাথানত করে
এবং একজন কবি চিৎকার করে বলছে আসুন রাষ্ট্র
আমার মস্তিষ্ক খুলে নিয়ে যান গিলে ফেলুন—
যেমন বিষন্ন বিকেলকে সাক্ষী রেখে মেঘ সূর্যকে গিলে ফেলে
নিজেকে নিয়ে ভাবতেই বড্ড ঘৃণা ছুটে আসে।