তীব্র ভালোবাসাও মিশে যায় সময়ের জলে
                    চেনা মুখও তখন অচেনা ভাষায় কথা বলে।


মানুষকে অধিক ভালোবাসলে হারিয়ে যায় কিন্তু ঈশ্বর নয়
এসব ভেবে উত্তরবিহীন হিসেবের ডায়েরিটা ভারী হয়ে উঠে।

ভাবতাম মানুষ প্রকৃতি নয়— তোমাকে ভালোবেসে বুঝেছি প্রকৃতির মেটামরফোসিস
থেকেও অনেকটা বেশি—বোধগম্যতার বাইরে।
পোড়া সম্পর্কের ছাই যত্ন করে তুলে রাখি অভিমানের সিন্দুকে—
জন্ম হয় স্মৃতিকেন্দ্রিক মানুষের কিংবা নশ্বর কবিতার।

অবশেষে বেদখলে যায় আমাদের বুকের মানচিত্র—নিষিদ্ধ জোত্স্নার মতো
গিলে খায় আমাদের বর্তমান আর ভবিষ্যত।

প্রতিজ্ঞাপাঠ ব্যতীত সত্য বলার প্রবল আগ্রহ—পানশালায় যাওয়ার একমাত্র
উদ্দেশ্য হতে পারতো। নিজের স্মৃতিলোপ পাওয়ার প্রশ্ন উঠে—
হারিয়ে ফেলি ভুলে যাওয়ার সক্ষমতা
রাত্রিগুলো আততায়ী হয়ে উকি দেয় বারান্দায়।

মাঘের সন্ত্রাসী হাওয়া যেভাবে শীতকালকে ছিড়ে ফোড়ে একাকার
কোরে দিচ্ছে—সেভাবেই কিছু ব্যর্থ আত্নাও নিঃশব্দে
গোপনে নিজেদের হত্যা করে যাচ্ছে।

ঈশ্বর প্রেমকে মানুষের মাঝে সৃষ্টি করলে তবে এতো যুদ্ধ কেনো—
আর কেনোই বা প্রত্যাখান।