বাবা তোমার ছেলেকে হারিয়ে ফেলেছি বিপ্লবের মিছিলে
তুমি পাড়ার লোকদের গল্প শোনাতে চেয়েছিলে—ছেলে আমার মস্ত বড় অফিসার
সরকারী কর্মকর্তা আর মাইনেও বেশ ভালো পায়
—বলতে গিয়ে অকৃত্রিম সুখ প্রকাশপূর্বক গর্বে হয়তো চোখের জলও গড়াতো।

কাঁদতে না পারার যন্ত্রণাতে—
নিরব কান্নায় ভেসে যাওয়া হৃদয় নিয়ে আক্ষেপ করবে জানি
মহৎ জন্মের ঋণ পরিশোধ না করে—  
করুণ অশ্রু হয়ে ফিরবার মতো কুলাঙ্গার কে হতে চায়?

মৃত্যু ভয়কে ব্যারিকেড করে এগিয়ে যাওয়া বুক সবাই দেখেছে আজ
দীর্ঘকায় আকাশ যেনো পৃথিবীর সমস্ত সাহস সেখানে জমেছে
যেনো আসাদরা ফিরে আসে প্রতিটা আগুনের মশালে ভর করে
দুর্ভেদ্য প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায় বুলেটের মুখে—

রাষ্ট্রকে রক্তখেকো ভাবতে বাধ্য করে হায়েনাদের বর্বর আচরণ
শহরের দেয়ালগুলোতে চিত্রিত হয়েছে প্রতিবাদী উক্তি—
স্লোগানে ভাসছে অধিকারের মুক্ত হবার চিৎকার
প্লে-কার্ড দ্যাখে —কী উৎসাহ নিয়ে রাজপথে ছুটে যায় উপেক্ষাহীন যৌবন
মহৎ কোনো মৃত্যু কিংবা একমাত্র রক্তমশালই পারে একটি উর্বর ইতিহাস লিখতে।

পোস্টমর্টেম বলে দেয় তোমাকে ভালোবাসার মতো জন্ম আমার নাই
রাষ্ট্র হতে পারো—ঠোটে চুমু দিয়ে বিদ্রোহী হতে চাই।