ঠক্ ঠক্ শব্দে দরজা খুলে অবাক !
বিকৃত চেহারার অজ্ঞাত এক দল -
ভয় জড়ানো চোখে হাজার কৌতুহল নিয়ে ,
নিয়ে গেল আমায় এক বিচিত্র দেশে !
ক্ষত-বিক্ষত মানুষের ঢল ,রক্তের কালচে দাগ অঙ্গজুড়ে ।
কত বছরের কে জানে ?
শিউরে ওঠে আমার মন ! সর্বাঙ্গে যন্ত্রনা ছড়িয়ে পড়ে ।
তোমরা কারা ? তোমরা কি চাও ?
ওরা ফিসফিস করে কি যেন বলে !
তোমরা এমন কি করে ?
তীব্র অট্টহাসিতে চিৎকার আসে -ছেনাল সব ....ন্যাকা সাজে ।
জানো না আমাদের এ করুণ পরিনতি ।
ঐ সম্মুখে দেখ - ওহ ! কি নিষ্ঠুর ।
তীব্র আর্তনাদে একের পর এক ভিড় জমাতে থাকে ।
দেখ দেখ নরকবি এদের দেখ !
প্রথম পদার্পন ভুতের দেশে । আহ ! কি যন্ত্রনা !
তোমাদের স্বার্থের পৈশাচিক ফলশ্রুতি ।
তোমার বাঁ দিকে তাকাও নরকবি -
ওরা তোমার মায়ের জাত -লজ্জায় মুখ ঢেকে রাখে ।
আর ঐ রক্তমাখা মাঠ দেখ -লজ্জা কিসের ?
ওরা চলতে পারে না -ওরা অঙ্গহীন ।
ভুলে গেছ কিভাবে ওদের ঝলসিয়েছো !
তাকাও ঐ রক্তিম পাহাড়ে -
ওরা এখনো ভুলতে পারেনি যুদ্ধের যন্ত্রনা ।
কেমন যুদ্ধ যুদ্ধ খেলছে -পাগল হয়ে গেছে ।
হে নরকবি ! আরোও জানতে চাও তোমাদের নিষ্ঠুর ইতিহাস !
তবে পিছনে তাকাও -দেখ শোণিতের ফল্গুধারা বয়ে চলেছে ।
কান খাড়া করো শুনতে পাবে -যন্ত্রনার করুণ সুর ।
তোমরা আপাদমস্তক রক্তে লীন হয়ে আছো ।
কেন নরকবি ?তোমরা মানুষ বলে ।
হে নরকবি ! মুক্তি দাও আমাদের মুক্তি দাও ।