(১)
মন ছিল না ক্ষনকাল এ সংসার নীড়ে ,
স্হিরতা চাইনি এ জটিল সভ্যতার ভিড়ে ।
আর এ নগরের ভিড়ে তুমিই তো ছিলে ;
ভাবিনি কখনো, দেখিনি নয়ন মেলে ।
যৌবন সান্নিধ্যে হে! প্রেয়সী তুমিই প্রথমবার-
নির্বর্ষ হৃদয়ে এনেছিলে বৃষ্টি ঝরঝর ।
হৃদয় যমুনা ভরিয়ে , বসন্ত বাহার এনে;
ফুলেফুলে ভরালে শাখী এ রুক্ষ কাননে ।

                          (২)
হাজার তারা সরিয়ে যেভাবে চাঁদ হাসে ;
ধূসর দিন মুছে  ফেরারি  স্বপ্নরা আসে ।
প্রপঞ্চ মন বিভোর হয়ে খোঁজে নীলাকাশে-
ইন্দ্রধনু । মন আঁকে শুধু তোমাকে প্রেমাকাশে ।
চাঁদ ফোটা জোছনা ভরা ঐ বাট -
তুমি বিনা  শুধু  ধূ - ধূ  ধূসর মাঠ ।
তুমিই আমার দিন রাতের আকাশ, মধুমাস ;
পুবালি বাতাস তুমি , তুমিই নির্মল প্রশ্বাস ।

                           (৩)
নির্নিমেষ আঁখি দুজনার , ছন্দপতন ধৈর্য্যের ;
উর্বর বক্ষের মসৃনতায় সেই প্রথমবার-
দোঁহে ছুঁয়েছিল ঠোঁট ; প্রাকৃত স্হির ঈপ্সায়
কৃশাঙ্গী ও লহরী কটিদেশে,তনু পন্নগ গতিময় ।
ধেয়ে চলে ও পথে পথে ;খোঁজে সঙ্গম দ্বার -
নিষুতি রজনী শেষে আলো ঢেলে ভাঙে আঁধার ।
নিস্তল সঙ্গম উদ্দাম নৃত্যে আবারও উন্মুখর ;
সৃষ্টির ইতিহাসে সঙ্গমহীন কে বেঁধেছে ঘর ?