ক্ষনে ক্ষনে বাড়ে স্মৃতি , তিক্ততায় বেশি
নুব্জ হৃদয়ে কুহেলি বুহ্য , তবুও অভিলাষি-
ঘুরে ঘুরে নীলনদ আমাজান ,
ফিরিয়েছে প্রশান্ত অবেলা বৈকাল ।
ভেসে ভেসে বালুকনা কাল খরস্রোতে ,
ক্ষনকাল, বালুচর ভরে শষ্পেতে ।
চির লালায়িত হাসি যে বধূর
রব বিন্দুকনা তার ভাগীদার ।
সিঞ্চিত কুচকুম্ভ জ্বালে বহ্নি,এ কাহ্ন তোমার --
রতির কুম্ভীপাকে ঝাঁপাবে আদিম অভিপ্সা অমর ।
যদি না ভাঙো এ পাড় , গড়া ঝুরু ঝুরু বালুচর ।
ঝরা মাঘে তুমি আমায় ছেড়ে নিরুদ্দেশ ।আবার-
অপেক্ষা, উচ্ছেদি পদাঘাতে বা ক্ষিপ্র আঁচড়ে,
দীর্ঘপথ হাঁটা তপ্ত ধুলোর খরশর জুড়ে ।
কোনো বিকেলে জমা কালোমেঘে,রাত্রির বরষায়-
আবার ভাসা কোন পথে ? অজানা ঠিকানায় ।
বর্ণাঢ্য প্রভাতে বা স্বর্নালি গোধূলির বিস্তীর্ন বালুচরে-
রোমাঞ্চ স্বপ্নচোখে পদচিহ্ন আমার বুকে , বেঘোরে ।
কোন কালে পর ছিলাম ? তবে কেনো যাযাবর আমি ?
অভিলাষের ছায়াপথ ভেঙে কবে হব মুক্ত, নির্বান আমি ?