এক্দিন জ্ঞিজ্ঞেস করেছিলাম------
"মা তুমি এত সাজো কেনো?"
মা বলেছিল----------"মেয়েদের সাজতে হয়"।
মা চলে গেলে---- আমিও সাজতাম।
লিপিসটিক লাগিয়ে, চুড়ি পরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে,
নিজেকে বারবার দেখতাম----মায়ের মতো লাগছে কিনা ।
কখন ঘুমিয়ে যেতাম কিছু মনে পড়ত না।
চোখ খুলে দেখতাম---বিছানার পাশে আমার মা !
-----------------মাথায় হাত বোলাতো । আমি হাসলে ,ক্পালে চুমু খেত।
"মা আমি তোমার মতো হব"--বললে;---ভীষন রাগ করে বুকে জডিয়ে ধরে কাঁদত ।
আমিও কেঁদে দিতাম নিজের অজান্তে।
একদিন পোড়া মাসির বাংলোতে------
একটি মোমবাতির উগ্র শিখাতে দুটি বেলুন ঝুলিয়ে,
আমার প্রথম কেক কাটা হল আঠারোতম জন্মদিনে।
অন্ধকারে চাঁদের গায়ে কলঙ্ক স্পষ্ট হল। দুচোখে ঝাপসা ধরিয়ে...
কুকুর গুলো লেজ গুটিয়ে চলে গেল ।
ঘুম ভাঙে । দু চোখ কিছু খোঁজে ?
বিছানার পাশে আমার মা নেই,চুমু নেই ।
ভালোবাসার অঢেল যন্ত্রনা টুঁটি চেপে ধরে,
চোখ ফেটে জল আসে বালিশ ভিজে যায়।
আজ কেউ বুকে জড়িয়ে ধরে না,আমার মাও না।
এক ঐশ্বরিক যন্ত্রনায় ঈশ্বরও বুঝি লজ্জা পাই ।