হে নারী, কেমোন আছো তুমি;
কেমোন আছো কি জানতে পারি?
এখনো কি তুমি সে নারী,
না নারী থেকে জন্ম নেওয়া
নতুন কোন নারী?
এখনো কি তুমি নারীর অবয়বে
সে নারী, না কি সময়ের প্রতিশ্রুতিতে
বিবর্তিত জন্ম থেকে নতুন কোন নারী।
তোমার শরীরের প্রতিটি ভাঁজে ভাঁজে
আজো কি আছে নারী বিষের
সেই সু-মধুর বিষ ফোঁটা,
তোমার দক্ষিণা সে সুহাসি।
আজো কি ছুটিয়ে নেয় তেজি
ঘোড়ার মতো পুরুষকে ধু ধু মরুর বুকে,
খাঁ খাঁ করতে থাকা টগবগে রোদে!
তোমার ভেজা দু'চোখের সে মৌন আবেদন
আজো কোন পুরুষকে পাগল করে তোলে...
না কি তার থেকেও বেশি কিছু!
নারী সত্যিই তুমি বিষ্ময়,
নারী আজো তোমায় চিনতে পারিনি।
তোমার হরিণী দু'চোখে তুমি
দেখিয়েছো শেয়ালের মতো ধূর্ততা,
কোকিল কন্ঠে শুনিয়েছো
বিষাদের হরেক গান।
তুমি স্বপ্ন জয়ের জোয়ারে ভাসিয়ে
দুঃস্বপ্নের খেলা ঘরে রচনা করেছো
কতো না পুরুষের বধ্যভূমি,
তুমি জাগরিত আশার সমাধি পরে
গড়েছো সমাধির মহা-সমারোহে!
তোমার সু-মিষ্ট কথার বিষ
পান করিয়ে কতো না আত্মার আত্মাকে
রেখেছো অনন্ত দগ্ধ-দহনে!
হ্যাঁ - তুমিই করেছো, তুমি
তুমি দেব-তুল্য হুমায়ূন ভাইকে ছলনার
পদাঘাতে নিষ্পেষিত করতে ভাবোনি,
সোজা ভাই খ্যাত ভালো মানুষ রানাকে
তুমি প্রেমিক বনের গাধা করতে ভুলনি!
আজো দেখি মদের বোতল কেমোন
মানিয়ে নিয়েছে স্কুল-বন্ধু সমীর বাবু,
টিকলিকে ভালাবেসে কবিতা রচনা করতে
একদা লেলিন রায় স্বীকার করেছে
সে হাইনরিশ-হাইন কে চুরির কথা।
লাল হয়ে যাওয়া ফারুকের সে
কফি কালারের শার্ট সম্রাটের মতো
আত্মাহুতি দেওয়া বাটা ব্রান্ডের সেই
দামী জুতো আজো বলে তোমার কথা!
কাজলের বেসুরেলা সে গান,
ধূয়ার পর ধুয়া পান
শৈলীকে ভুলে থাকতে মদের বোতলে
থাকা কাশীর সিরাপ টানা।
রাতের পর রাত জেগে রাসেলের সে সুরের সাধনা,
লিটনের ৭১৭- মিনিট ফোনের কথা মালা
নিপ্রাণ আমানের প্রাণের গল্প-গাথা,
হিসেবী পলাশের বেহিসেবী ৪৫০-টাকার বলি দান
জীবন্ত আকবরের কফিনে মাড়ো দুঃসহ জীবন,
অবিশ্বাসের দানা গিলে একটি
সরল প্রাণের ৬০০-কিলোমিটার ধর্ষণ!
আজো স্মরণ করে তোমায়,
আজো বলে তোমার কথা!
আর এই আমি নাইবা বললাম সে
গোপন ব্যথার কথা...
(রচনাঃ জুলাই/২০০৪