এক হাড়ি সুখ কিনতে
গিয়েছিলাম হাটে,
দর দেখে ফিরে এলাম
ফুলবাড়িয়ার মাঠে।
অই গ্রামের ছোট্ট মেয়ে
ময়না তাহার নাম,
নিত্য দিন ঝিলের কাছে
শাপলা কিনতে যান।
আমি তাকে জিজ্ঞাসিলুম
কয়টা কেনা হলো?
একটা ফুলের বিনিময়ে
এগারো আনা নিলো।
শাপলা বিলের কানুদাদা
বললো আমার ডেকে,
ওকে নিয়ে ঘুরতে যাবেন?
মাঝ বিলের দিকে?
নৌকায় বসে, বললাম দেখো!
কতো শাপলা ভাসে,
আড়চোখে আমার দিকে
চেয়ে মুচকি হাসে।
ময়না তো পাখির নাম
উড়ার ইচ্ছা আছে কী?
উড়তে পারলে ভালো হতো
জানার অনেক আছে বাকি।
তিনে গেলো বাবার জীবন
পাঁচ'এ গেলো মা,
দুর্ঘটনায় বড় দাদার
হারিয়ে গেলো পা।
পেটের দায়ে পিশির ঘরে
কাজ করে খাই,
সুখের আসায় বাঁচি আমি
সুখ নাহি পাই।
বিধাতার কাছে প্রশ্ন করি
সুখ কোথায় আছে?
কেনো সে দূরে থাকে
ধরা দেয়না কাছে।
আকাশ পানে চেয়ে বলে
পাখি হতাম যদি,
সুখের খুঁজে উড়ে যেতাম
আমি নিরবধি।
কথা শুনে অবাক চোখে
রইলাম শুধু চেয়ে,
ময়না যদি খুশি হতো
একটু সুখ পেয়ে।
প্রার্থনা করি প্রভু অগো
সুখ করো দান,
নাহয় তুমি তার জীবনে
দাও সুখের সন্ধান।
বেলা ডুবে সন্ধ্যা হলো
সূর্য যাবে পাঠে,
ফিরে এলাম পারের দিকে
ফুলবাড়িয়ার মাঠে।
২৫.০৭.২০২২ইং
কচুয়া, চাঁদপুর