পাহাড়টা যে বাহার সেজে দাঁড়িয়ে আছে আজ
নদী হলো স্রোতস্বিনী সাজছে কতক সাজ
নদীর জলে নাইছে দেখো রাজ হংসের দল
ফুল পাখিরা উঠছে মেতে কতো রঙ্গের ফল
আসছে পশু খাইছে সুখে চলছে নাচের ধুম
ভোদরটা যে কেনো গো আজ দিয়েছে এত ঘুম?
এলো আপন এলো যে পর হলো আনন্দে ভার
হেসে খেলেই দিচ্ছে সবাই কত যে উপহার।
নাইছে দেখো খাইছে কেহ করছে শিশু খেলা
ওদিক দিয়ে বসছে দেখো কত কিছুর মেলা।
আমাকে দেখে উঠলো হেঁকে ছোট্ট একটা টিয়ে
বললো ডেকে আজ এখানে পাহাড়_নদীর বিয়ে।
অবাক হয়ে রইলোম চেয়ে ঐ নদীটির দিকে
রঙ্গিন হলো জলগুলো সব গায়ে হলুদ মেখে।
একই দিনে হলুদ মাখে একই দিয়ে বিয়ে
এটা আবার কেমন নিয়ম ভাবছি চেয়ে চেয়ে।
কৌতূহলী হয়ে আমি জিজ্ঞাসিলুম তাকে
ফিসফিসিয়ে জবাব দিলো আপ্যায়নের ফাঁকে।
মেঘের সাথে আবেগ মেখে করতো কত খেলা
কান্না ধরতো যখন বৃষ্টি করতো অবহেলা।
পাহাড়_মেঘের বিভেদ শেষে করছে বিয়ে হেসে
এমনি করে মেঘ তখন উঠলো জুড়ে কেশে।
হায়রে হায় একি হলো এমন সময় বৃষ্টি এলো
অমনি করে ভিজিয়ে দিলো আনন্দটা মাটি হলো।
বিয়ে টা যে ভেঙে গেলো করলো কে যে ছল
উড়ে গেলো, চলে গেলো সকল প্রাণীর দল।
২৯.০৬.২০২২ইং
কচুয়া, চাঁদপুর