দুঃখ রাতের সাথী
চেয়েছিনু তোমায়, যে হরিণী মায়া চক্ষু দুটিতে
মায়া ঝরতো অঝরে। সমদুঃখে দুখিনীর
চক্ষু দ্বয় ভিজে যেতো পানিতে।
আমিই বা কেনো!
সামান্য ব্যপারটির জন্য
শ্বাসনের স্বরে গিয়ে তাহার তরে
উদ্ধম বকাবকি করে মলিন কইতাম তাহারে।
বিজ্ঞানের কি অভিনব সৃষ্টি
ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে দেখা যায়
তাহার হরিণী চুখে
অঝরে ঝরছে বৃষ্টি।
ক্ষনিক সময় পরে
বুঝাতে গিয়ে তাহারে
সরি, ভুল করেছি, বলে নত করিতাম মাথা
এটা শুনে ও বলিত আমারে
অনেক বলেছো এই কথা
বুঝে গেছি আমি কখনো যাবেনা আমার এই ব্যথা।
কিছুক্ষন পরে
সকল বেদনা গিয়ে ভুলে
খুব মৃদু স্বরে বলে
কান ছারো এবার,
আমি জানি বকেছো আমায়
যতক্ষন রাগ ছিলো তোমার।
পুনরায় সব ঠিক হয়ে গেলো
কিভাবে যেনো সে!
সকল বেদনা আর অভিমান গুলো
বিদায় দিয়ে দিলো।
প্রার্থনা করি ভগবানের তরে
দুঃখ যেনো তাহারে
কখনো স্পর্শ না করে।
আমি ভাবিএকা আনমনে
হে প্রভু, তুমি তাহারে দিয়েছো এমন শক্তি
সে জানে দুঃখ থেকে কিভাবে
পেতে হয় মুক্তি।
অত পর সব কিছু ভুলে
দুজনের মুখেই হাসি মিলে
তারপর বলে, রাত অনেক হলো
এবার ঘুমাও "শুভ রাত্রি"
তাইত আমি তাকে বলি
তুমি আমার দুঃখ রাতের সাথী।।