ফুটেছিলে মম হৃদয় চম্পাবাগে
কোমল কুসুম হয়ে,
চেয়েছিনু সে কানন হতে
ফিরবো তোমারে লয়ে।

কাল যত যায় ডুবি কোমলতায়,
চেয়ে রই তব পানে,
তব ন্যায় এতো মাধুর্যমণ্ডিত
ফুল নেই এ কাননে।

দূর হতে চাই তব পানে আর
হেরি তব আঁখি মেলি,
মুনাজাতে এই পুষ্পের লাগি
অশ্রুবারি ফেলি।

ছুঁয়ে এ কুসুম রাতে হয় ঘুম
আপন গৃহ ছাড়ি,
চাঁপার সাথে পুষ্পসাখে
রাত্রিযাপন করি।

পুষ্পরে লয়ে আসি আলয়ে
কানন হইতে তুলি,
পুষ্পের মুখে ফুটতে লাগে
হাজার কথার বুলি।

পুষ্পবাগের বাকি ফুলগুলো
পড়েনা চোখে আর,
এক চম্পারে লয়ে মম
পুষ্প সংসার।

দেখেছিনু আগে পুষ্পবাগে
পুষ্পের কোমলতা,
একবারো হায় আসেনি হিয়ায়
ফুলের কাঁটার কথা।

ফুলবাগিচার শ্রেষ্ঠ কুসুম
কণ্টক আছে থাক,
ফুলের কাঁটার তীক্ষ্ণ আঘাত
গোপনেই রয়ে যাক।

কিছুকাল বহে, পুষ্প কহে
দেহখানি আছে শুধু,
বহুকাল আগে পুষ্পবাগে
ভ্রমরে খেয়েছে মধু।

বসেছে ফুলে হাজারো ভ্রমর
নাই কো মধু আর,
বদ্ধ ঘরে থাকবে না ফুল
ছোঁয়া চায় সে সবার।

দূর হতে ফুল ভীষণ সুন্দর
কেন আনিলাম ঘরে,
এই প্রশ্ন এখন আমায়
ডুকরে ডুকরে মারে।

কার লাগি এতো অশ্রুবারি,
কার লাগি ঘর ছাড়া,
কার লাগি মম এতো আয়োজন,
আজকে পাশে কারা!