কে কি কেন কিভাবে .......
প্রশ্নবোধক এই শব্দগুলিই হয়তো ছিল
বিস্ময়াবিষ্ট নরের প্রথম জিজ্ঞাসা।
দশদিশির বৈরিতা
জীবন সংগ্রামের প্রতিদ্বন্দ্বীদের যুযুৎসা
অহরহ আত্মরক্ষার তৎপরতা
গোলকধাঁধায় ঘোরা
আরও কত, না পাওয়া জ্বলন্ত জিজ্ঞাসা ।
কে দেবে উত্তর এর, কে দেবে ভরসা!
লক্ষ লক্ষ ঊষা দিবা সন্ধ্যা রজনী
ফিরে ফিরে আসে আর যায় ,
বিস্ময়ে প্রকৃতির অনন্ত রূপ দেখে
বিমূঢ়তা স্তরীভূত হয় জিজ্ঞাসার স্তূপে,
অসহায় কনিষ্ঠ আগন্তুক উত্তর না পায়।
দৃষ্টি ওড়ে নভস্থলে , মন মগ্ন বসুধায়
আয়ুষ্কাল জুড়ে ,
বাল্য কৈশোর ক্রমে ক্রমে পৌঁছে যায়
তারুণ্যের দ্বারে।
পুরাতন অরণ্য দেখে নবীনের চোখ,
অরাতিকুলের মিথুন বোঝে কম্পিত হৃদে,
রাঙা মন পতঙ্গ হয়ে পরাগ মধু মাখে,
হৃদয় উদ্বেল হয় যৌবনের রাগে।
সম্মোহিত স্বপ্নাবিষ্ট সিসৃক্ষু হৃদয়ে
যুগ্মদেহ মত্ত হয় মাণিক্যের খোঁজে।
এক অনাবিল অনির্বচনীয় সুখে
অন্তর-কন্দরে কী পুলকই না জাগে!
খুলে যায় অজানা অচেনার নব নব দ্বার ,
খুঁজে পায় নব নব দিশা,
শঙ্কা কাটে নব সূর্যোদয়ে,
হস্ত পদ দেহ হয়ত সবই অবোধ
শুধু মস্তিষ্ক যোগায় ভরসা।
পলে পলে বয়ে যায় কাল
বোঝে সর্বত্রই ছড়ানো আছে
সৃষ্টির সুবিশাল অনন্ত সম্ভাবনা,
ভাঁজে খাঁজে ছোটে জিজ্ঞাসা তরঙ্গ,
কখনওবা জন্ম নেয় দিশারি স্ফুলিঙ্গ ,
নবাগতের মস্তিষ্কের আর নাই যে তুলনা!
****