পানকৌড়ির মতো জলে ডুব দিই বারংবার।
মাছ, পোকা, উদ্ভিদ কিংবা গাত্রজ্বালা মেটাবার
জন্যই এবং আবার...। যাযাবরী বৃত্তিটা টেনে
নিয়ে আসে পড়ন্ত দুপুরে, বিকালে সেই নির্জনে
নিঃসঙ্গ পুকরে। হয়ত লজ্জাশীলা সন্ধ্যামণির
মতো দলোন্মীলন চায় সন্ধ্যায় মুখ ঢাকিবার
তরে, ছোঁয়াচে ঐ সূর্যের আলোয় যদি দেখা যায়
বুকের খাঁচায় শুষ্ক প্রদীপ, সলতে যার নাই।
কখনও অন্ধকারে সূর্যাস্তের পরে রত্নাকর
সেজে ইষ্টনাম উল্ টে যাই যবে না প্রভাকর
ক্ষীণ কণ্ঠে আমারে নাড়িয়ে দিয়ে সম্বিত ফেরায়।
ধ্যান ভাঙ্গি রত্নাকর অনুভবে শুষ্ক বালুকায়
আসন্ন রাত্রির শৈত্য-সঞ্চারণ শিরায় শিরায়।
আকশমণির পর্ণসম ইন্দু বিস্তারে মায়ায়।
নতুন ঊষার আশে প্রতিটি দুপুর বা সন্ধ্যায়
পানকৌড়িটা আসে একবার অজানা প্রত্যাশায়।
কি রহস্য আছে পদ্ম-পানা ভর্তি নির্জন পুকুরে?
কি মায়ায় বাঁধা পড়ে প্রতিটি সন্ধ্যায় বা দুপুরে!