মসী অক্ষর-বরে তুমি ভারতীর জ্যেষ্ঠ সন্তান,
হৃদয় চেতনার উন্মেষ-কথা মুক্তামালা করি,
ছন্দে ছন্দে অপূর্কৌশলে কত তিলোত্তমা গড়ি,
সানন্দে বক্ষে করেছো ধারণ, ঔজ্জ্বল্যে যা অম্লান।
যুগ যুগ ধরি হাসি-গান-কথা,পেম-ব্যাকুলতা,
সোহাগ-বিরাগ,বিজ্ঞা্ন,কলা,কৌশল রাশি রাশি;
সুখ-দুঃখ,আশা-নিরাশা,ত্যাগ-তিতিক্ষা পাশাপাশি,
সঞ্চিত তোমার ভাণ্ডারে,তবু রয়েছে অপূর্ণতা।
যে হৃদয়ের ভাষা, রেখেছে ভাণ্ডার অপূর্ণ করি,
সে অসংখ্য অক্ষৌহিণী দলে আমি ক্ষুদ্র এক কণা;
সাধ আছে, সাধ্য নেই, প্রচেষ্টা, বাজাব মনোবীণা
অন্ততঃ একদিন, হে গ্রন্থাগার, সাধ্যমত বরি।
তব অনির্বেদ সান্নিধ্যে দ্যূতিময় অসংখ্য গুণী,
নিশিদিন ক্লান্তিহীন এক আন্তরিক প্রচেষ্টায়;
অধিগত, স্বকৃত, আত্মস্ত ক’রে মৌন আকাঙ্খায়
যা কিছু নিজের বলেন, তাঁরাও তব কাছে ঋণী।
তাঁদের গর্বের যা কিছু সম্পদ সে তোমার দান,
দাক্ষিণ্য লভে হ্লাদিনী শক্তিকে, বিনিদ্র সাধনায়;
যে শক্তির অনাদ্য ধারায় গড়ে নতুন অধ্যায়,
কৃতজ্ঞতা প্রকাশে তা একদিন দেয় প্রতিদান।
সভ্যতার বিজয়যাএা তুমিতো স্বচক্ষে দেখেছো,
রাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি ও জাতির উথ্থান-পতন,
মানবতার মৃত্যু, দাসত্ব, শ্রেষ্ঠত্বের আস্ফালণ-
সবই তুমি বর্ধমান কায়ায় সযত্নে রেখেছো।
অদ্যাবধি তবু তুমি আমাপেক্ষা রয়েছো অপূর্ণ,
এখনও আছো তুমি সভ্যতার কৈশোর জীবনে,
এখনও অগম্য পথ সদূর সম্মুখ-বিজনে।
কে জানে কোন্ অনির্দ্দিষ্ট ভবিষ্যে হবে তা সম্মূর্ণ?