শুনেছি বল্মীকবদ্ধ তপস্বী রত্নাকরে,
মুক্ত করেন প্রজাপতি বাল্মীকি ঋষিরে।
গৌতমও ধ্যানে থাকি বোধিবৃক্ষমূলে
বুদ্ধ রূপে আবির্ভূত হন শাক্যকূলে।
তপস্যার প্রভায় পরম সত্যের সন্ধানে
অসংখ্য সাধক বসেছেন কত তপবনে।
তু্মিও নব সাধনার পথ দেখিয়েছ কবি
কবিগুরু রূপে স্বীকৃ্ত তাই পৃথিবীর রবি।
তোমার সাধন ফলের অমৃত বর্ষণে
সর্বাঙ্গ জুড়িয়ে যায় মন-প্রাণ সিঞ্চণে।
তোমার বিচরণ জীবনের সমস্ত ভাবনায়
তোমার রথচক্র রেখা দেখি সমস্ত কল্পনায়৷
মনের প্রতিটি কোণে রয়েছে তোমার বাসা,
মস্তিষ্কের ধূসর খাঁজে বাঙ্ময় তোমার ভাষা।
চেতনে অচেতনে কত সুগন্ধ ছড়ায়ে,
রচেছ অপূর্ব মালিকা মুকুতা জড়ায়ে।
মৌলিক চিন্তার খোঁজ করতে কখনও বা দেখি,
হাসনুহানার গন্ধে ভরপুর,মোর চিন্তা মেকি।
তোমার চৈতন্য দেখি, আমি অচেতন হই,
বাহ্যজ্ঞানশূণ্য আমি শুধু মূক হয়ে রই।