নববর্ষে নবোদিত নব দিবাকরের বিভায়
দশদিশ উজলিয়ে স্বর্ণাভ গোলাপি আভায়
আবির্ভাব তব। ঋষি ঋতুর দুরন্ত পবন
সম্বৎসরের কলুষ মুক্ত করেছে ভূবন।
পবিত্র ধরণীর সংস্কৃত, আলোকিত অঙ্গনে,
এলে মাতৃক্রোড়ে পঞ্চবিংশতি বৈশাখী অহনে।
বদ্ধ নিয়মের গন্ডী ভেঙে গেলো করস্পর্শে তব,
আলোকদিশার ঝর্ণাধারা সৃজিলে নব নব।
মার্কন্ডের রূপ ধরি দশদিক তুমি উদ্ভাসিলে,
রূদ্ধগৃহদ্বারগুলি সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দিলে।
দখিনা সুস্নিগ্ধ পবন বহিল বাতায়ন পথে,
ফুলের সুগন্ধ এসে মিশে গেলো সমীরণ সাথে,
বিরচিলে অপরূপ কাব্যমালা ধরণীর তরে,
যে মালার ফুলগুলি এখনও সৌরভ বিতরে।
বামনদেবের মতো বিস্তারিয়া তিন পদপাতে,
ত্রিভূবন জয় করে নিলে তুমি শুধু মস্যাঘাতে।
তব অমৃতবানী সংস্পৃক্ত হয়ে দেহ-মন-প্রাণে
ছুটে চলে রক্তের গতিতে অনির্দিষ্টের টানে।