জীবনটাকে নিয়ে অনেক রচনা লিখেছি
সপ্ন দেখেছি মনের এক অজান্তে,
হঠাৎ করে কোনো এক ভাবনায় নিঝুম মনে
আবেগের বশে আশার পার ভাঙে হৃদয় প্রান্তে।
চোখের জলে বুক ভিজিয়ে সৃষ্টি হলো
যন্ত্রণার বিষাদময় শোকার্ত প্লাবন,
সেদিন থেকেই আর নেই কোনো অভাব, অভিযোগ
তাইতো জীবিত থেকেও মৃত এই জীবন।
কোনদিন মৃত্যু আমাকে ডাকবে
কে জানে অন্ত পরে যাবে এই নিশির,
ডুবে যাবে সুখের তরী বন্যার পানিতে
অক্ষত অবস্থায় থাকবে পরে এই শরীর।
আমি জানি ভালোবাসা শুধু এক বিশ্বাস
অবিশ্বাসের কিছু নেই বললেই হয়,
এতে পাওয়া যায় বিজয় উল্লাস
বিপরীতে অজেয় দুর্দশা পরাজয়।
তাইতো এতোটা বিশ্বাস এনেছিলাম তোমার সনে
কিন্তু বিশ্বাসের কোনো মাধুর্য তুমি রাখোনি।
কতটা ভালোবাসতাম তোমায়
তবুও তুমি হলে এতো নিষ্ঠুর তা কখনো ভাবিনি।
তুমি কি জানো এই প্রকৃতির ইতিহাস
প্রতিটি ধরণ যা তোমার মধ্যে নেই,
থাকবেই বা কি করে
থাকার মতো আস্তানা তোমার অন্তরে নেই।
আমি এখন নিরক্ষর অবুঝ শিশুদের মতো
বনের পাখির মতো করি যে আর্তনাদ,
বারবার বায়না করি না পাওয়াকে পাওয়ার জন্য
এটাই নয় জীবন অভিধানের নিনাদ।
মনে রেখো আকাশের রঙ সবসময় নীল থাকেনা
কোনো সময় বাদল এসে বদলে দেয় তার মুখ,
মেঘ গুলো বুকে ভেসে ক্রন্দন করে নতুবা হেসে
ভূষিত করে এনে দেয় প্রবাহিত দুখ।