আমি কে?
জানতে খুব ইচ্ছে করে,
হয়তো আমি মানুষ
এই সংসারে, বিধির এই নীড়ে।
নিজেকে যখন অচেনা শব্দে বেঁধেছি
তখনই বন্ধ হয়ে যায় নিঃশ্বাস,
সব কিছু ভুলে যেতে অগ্রদূত হয়ে
নতুন করে লিখতে চাই কিছু ইতিহাস।
হটাৎ করে দেখি আমার কাছে সব আছে
কিন্তু লেখার মতো কোনো কলম নাই,
তাই লিখতে বসে পড়েছি
মনের এক অনুভূতির পৃষ্ঠায়।
কেন জানি মন আমাকে প্রশ্ন করে
শিশুর মতো বায়না ধরে চোখের জলে,
কিছু বুঝতে চাইলে বুঝার মতো
কোনো সোপান আমার কাছে নাই বললেই চলে।
আপন বলতে শরীরের ছায়া ছাড়া
এই ব্যর্থ জীবনের কিছু নেই,
সবাই অজুহাত দেখিয়ে
করেছে অন্বেষণ কেউ অজানা ঠিকানায়,
কেউ আবার সোজা রাস্তায়।
একদিন সবই ছিল— আকাশ বাতাস
চারিদিকে ছড়িয়ে থাকা পরিবেশ,
তবে তারা অনেক অবহেলিত
তাইতো তাদের মহা প্রলয়ের বেশ।
তাদের মতো আমিও তৃষ্ণার্ত নদীর
বিষাক্ত জলের সদৃশ,
আমি যদিও ছিলাম উপকারী
সবাই নাকি বলে আমি কিং কোবরার বৃষ।
তাইতো প্রকৃতি তোমায়
বলতে চাই আমি কে? সত্যি কি আমি মানুষ,
নাকি অন্য কিছু
নাকি জীবনটাই আমার লুজ।