আচমকা
এক ঝাঁক সাদা বক উড়ে গেলো উত্তর আকাশে
ঘনো কালো মেঘ আর দমকা হাওয়ার তান্ডবের আশঙ্কায় ঘরে ফেরার তাগাদায়,
বিকেলের এতটুকু আলো অবুঝ শিশুর মতো তখনো হেটে হেটে যাচ্ছিলো গোধূলির কোলে,
মায়াবী প্রেম মেঘের বুক ছুঁয়ে দেখে গেলো পৃথিবীর বিরহী মুখ
মনের গহীনে অস্ফুট কাব্যকথা
উদাস বাতাসে ধীরে ধীরে উচ্চারিত হতে লাগলো সবুজ কিশলয়ে,
পোড়া মনের নিভু নিভু আগুনের উত্তাপ
বিধুর ধূপের ধোঁয়ায় একাকার হয়ে গেছিলো সারাটা মেঠো পথ।

বয়সে জং ধরা জীবন
জীর্ণ সিঁড়ি বেয়ে চলেছে নিভৃতে,
অন্তরাত্মায় হামাগুড়ি দিয়ে শৈশবের স্মৃতিরা চেয়ে আছে বিবর্ণ আকাশের দিকে
বিক্ষিপ্ত বালিয়ারি ঝড় টেনে নিয়ে যায় সময়ের জঞ্জাল,
নাটাই হাতে অদৃশ্য আগামী উড়িয়ে দিয়েছে ঢাউশ ঘুড়ি
স্বপ্নহীন উদাস সময়
সুতা যদি কেটে যায় অকস্মাৎ,
কোথা গিয়ে পরে যাবে কে জানে।

যদি মাটি ছুঁইতে না পারে!
যদি খরস্রোতা নদীর জলে ঝাঁপ দেয়
সেটা নির্ঘাত আত্মঘাতী নয়
বরং
কঠিন নিয়তির অপরিপক্ক ফসলের মতো মনে হবে,
যদি কোনো কৃষকের সবুজ ক্ষেত ছুঁয়ে নুয়ে যায়
তবেইতো একটা আগামির সম্ভাবনা দেখা যেতে পারে
নচেৎ সবার অলক্ষ্যে নিভৃতে বিলীন হয়ে যাবে সবকিছুই
কেউ জানবেনা, শুনবেনা দেখবেওনা কেউ
এই ই তো জীবন।