চোখ দুটো মুছিয়ে দিও না
দু'চোখ ভরে থাক জলে
ভেবে দেখ ডাক্তার মেয়েটা
কত যন্ত্রণা পেয়ে গেছে চলে!
শুধুই কি সেই মেয়েটা ?
যে মেয়েটা আর,জি, করে ছিল,
কুলতলির ছোট্ট সেই মেয়ে
তারও দেখি একই দশা হল ।
ওরা লোভ, আর ষড়যন্ত্রের শিকার
নেকড়েরা ছিঁড়ে খেয়ে গেছে ,
লালসার চুরান্ত প্রবৃত্তির
আরো কত নিদর্শন আছে।
দেখে শুনে হতবাক হয়ে
ভাবছি এই প্রবৃত্তি যাদের
দেখতে মানুষ হলেও তারা
মানুষ কি বলা যায় তাদের ?
মুছিও না দু'চোখের জল
বুকের আগুনটা ও জ্বলুক
নৃশংস এই কাজ যাদের
সেই আগুনেই পুড়ে মরুক!
এই আবহে আজ উৎসবে
মেতে থাকার মনটা কি আছে ?
আমরণ অনশনে ডাক্তারেরা !
মনটা সেখানে ছুটে গেছে।
মণ্ডপে মণ্ডপে মহিষাসুরেরাও
দেখে শুনে আজ স্তম্ভিত
মানুষের এই নৃশংসতায়
তারাও আজ বড় বিষ্মিত।
মায়েরও দু'চোখ ছলছলে
সিংহটাও বসে অধোবদনে
বাঙালির প্রাণের উৎসবে
এবার প্রাণের সারা পাইনে।
চোখ দুটো মুছিয়ে দিও না
দু'চোখ ভরে থাক জলে •••