আমি কিছুতেই ভুলতে পারছিনা,
মনের ওপর দাগ কেটে গেছে
ঐ নিষ্পাপ মেয়েটির মৃত্যু !
এ তো মৃত্যু নয়, ছিঁড়ে খেয়েছে
ওকে নারী মাংস লোলুপ
একদল ক্ষুধার্ত নেকড়ে ,
কী পাশবিক অত্যাচার !
যে একজন পরিপূর্ণ ডাক্তার হয়ে
সমাজের সেবা করতে চেয়েছিল
অনেক স্বপ্ন ছিল যার চোখে
তার সে সব স্বপ্নগুলো অধরাই রয়ে গেল ।
অন্ধকার ঘনিয়ে এলো তার
পরিবারের ওপর !
সে কি কোনো গূঢ় খবর
জানতে পেরেছিল ?
যার জন্য এত নৃশংস ভাবে
তাকে হত্যা করা হলো ?
দিনে রাতে বারে বারে
মনে পড়ে যায় তার কথা,
একটা বিরাট সম্ভাবনার
সমাপ্তি এতটা নৃশংস ভাবে হল
এটা কি মেনে নেয়া যায়,
বিশেষ করে কোনো সভ্য দেশে?
আমি একজন বিরাশি বছরের বৃদ্ধ
ও তো আমার মেয়ের থেকেও
বয়সে ছোট ছিল।
কি করে মানি এই অন্যায় অত্যাচার ?
আমি আজ চোখের দু'ফোটা জল
ফেলতে পারছি না ওর জন্য,
পরিবর্তে আগুনের হল্কা বেরোচ্ছে
আমার দু'চোখ দিয়ে !
বিচার হোক এই পাশবিক
হত্যা কাণ্ডের, যারা ধামাচাপা
দিতে চাইছে,যারা নাটের গুরু
সবার দৃষ্টান্ত মূলক চরম শাস্তি হোক।
কেউ যেন ভুলেও ভবিষ্যতে
এই জঘন্য পাশবিক কাজ করতে
ভয় পায়, শিউড়ে ওঠে বারবার ।
আজ ঈশ্বরের কাছে এইটুকুই
প্রার্থনা আমার !
আমি এক নগন্য অনামী কবি
বার্ধক্য আর দুরারোগ্য ব্যাধি
গ্রাস করছে আমায়,
তবুও আমি দেখতে চাই
সত্যিকারের বিচার পেয়েছে
মেয়েটির পরিবার
কোনো ধামাচাপা নয়,
নয় কোনো গোঁজামিল
মানুষের এই স্বতঃস্ফূর্ত সংগ্রামে
এই বৃদ্ধও হতে চায় সামিল ।