সারাদিনের ব্যস্ততা মেখে
বাবা যখন ঘরে ফেরে
তখনও আমি উঠানের কোণে অপেক্ষা করি
বাবার ক্লান্ত শরীরে অসুস্থতার   স্রোত দেখি
বাবা উপেক্ষার চোখে আমাকে দেখলে
আমার চোখের স্রোতে ভাসে সময়
জেগে ওঠে স্মৃতিরেখার আল বেয়ে
সমস্ত কালবেলা বাবার শরীরে বাঁচে
দিন শেষে রাত,রাত শেষে দিন
পিশাচের  চূড়ায় বন্দী থাকে
আমি বারবার দরজা ডিঙিয়ে  গেলেও
ঘরের ভেতরের কিছু শব্দ শুনতে পাই
নিষেধ বাণীর প্রকার দেখে শেষমেশ
শূন্যতার পাতার দিকে,বিষণ্ণ ঘাড় তুলে
বাবা দরজার বাইরে এসে দাঁড়ায়
আর
আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরলে
আমি বাবার চোখে দেখতে পাই
সন্তান স্নেহের বিন্দু বিন্দু  অশ্রু হয়ে ঝরে...