মুসলমানের প্রথম কেবলা ফিলিস্তিনের ভূমি,
নবী সোলায়মান (আঃ)-এর নির্মিত মসজিদ,
মসজিদ আল-আকসা নামেই চিনি।
মিরাজের রজনীতে নবী মোহাম্মদ (সাঃ),
তামাম নবীকে নিয়ে পড়েছিলেন নামাজ,
ঊর্ধ্বাকাশে যাত্রা নবী (সাঃ) র শুরু আল-আকসা থেকেই।
কালে-বিবর্তনে বহুবার পুনর্নির্মাণ হয়েছে এই মসজিদ,
কত নবীর কত স্মৃতি বহন করে আজও বহমান এই মসজিদ,
প্রাচীন সভ্যতার উত্থান-পতন হয়েছে এই মসজিদকে ঘিরেই।
আধিপত্য ছিল মুসলিমের, সাম্রাজ্য ছিল অটোম্যানদের,
সেই ভূমিতে বেলফোর ঘোষণায় বসবাস শুরু উদ্বাস্তু ইহুদিদের,
সংখ্যায় বেড়েছে, বিদ্রোহ করেছে, বিশ্বযুদ্ধ বাজিয়ে রেখেছে এই ইহুদিরাই।
আরব-ইহুদি বৈরিতা বাড়ে, এই ভূমিকে খন্ড করে, প্রচেষ্টা চালায় ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার,
দখলদারি-বর্বরতায় ইহুদিরাই আজ বিষফোঁড়া,
যাদের ছিল আধিপত্য আজ তারাই নিজ দেশে হয়ে আছে শরণার্থী।
কালে কালে, ক্ষণে ক্ষণে রক্তগঙ্গা বইছে ফিলিস্তিনির,
আল-আকসাও বাদ পরেনি, নামাজরতদের উপর চালায় তারা রক্ত বোমার মিছিল,
স্থানচ্যুত হয়েছে অনেক আগেই, জীবন দিয়ে দিচ্ছে ফিলিস্তিন আজ আল-আকসা রক্ষাতেই ।
ফিলিস্তিনিরা হতভাগ্য বটে, মৃত হচ্ছে যত তারা ততই হচ্ছে আজ উজ্জীবিত,
হে বিশ্ব মুসলমান, হও তোমরা আগুয়ান,
যত মতভেদ ভুলে গিয়ে আজ, সময় এসেছে হাতে হাত মিলাবার,
চাই উত্থান, ফিলিস্তিন আর রক্তাক্ত আল-আকসা হবেই হবে পুনরুদ্ধার।