কবির বিরুদ্ধে ঘটে কত রটনা
কবি তো আসলে জানে না ঘটনা
সামনে যারা কবির প্রশংসায় মজে যায়
আড়ালে তারাই তো অপবাদ দিয়ে যায়।

এক কবি কজনারে একসাথে সাধিবে
কজনারে একসাথে খুব ভালোবাসিবে
যেই নিষ্পাপ রমনীরে করে তারা দোষারোপ
আসলে কিছুই না মেয়েটা তো নির্দোষ।

দুদিনের পরিচয়ে বার্তা আর ফোনালাপ
সামান্য কথা বলা সত্যিই কি এতখারাপ
প্রয়োজন ছাড়া সে কভূ করেনি যোগাযোগ
বিনাদোষে দোষী সে কতশত অভিযোগ।

কবির বিরুদ্ধে তোমাদের অভিযোগ
কবি তো প্রস্তুত করিতে তোমাদের প্রতিরোধ
অপবাদে কেন তোমরা শান্তি খুজে পাও
তার চেয়ে ভালো হবে, উদ্দেশ্য বলে দাও।

আমাদের মাঝে তো কিছুই ছিলো না
মিথ্যার অভিযাত্রী তোমরা কেন বুঝনা
যদিও তাকে কিছু, তোমাদের জ্বলে কেন
আয়নায় চেয়ে দেখো নিজেদের মুখখান।

মানুষের ভালো তোমরা চাওনা
তাইতো তোমরা ভালো কিছু পাওনা
আন্দাজে রচিত তোমাদের রচনা
অনুমানে তীর মারো, কর কত রটনা।

মুখোশের অন্তরালে তোমরা নাগিনী
অপবাদ রচে যাও, মিথ্যার বাহিনী
আমরা তো ভালো আছি, ভালো কাজে যুক্ত
তোমরা তো অযোগ্য, পাপাচারে লিপ্ত।

আর কভূ তোমাদের কথায় নয় বন্দি
কথার মারপ্যাচে তোমরা কর ফন্দি
শয়তানকে গুরু মেনে তার সাথে সন্ধি
চিনে গেসি তোমাদের করবো শয়তানবন্দি।


প্রেক্ষাপট: আমার আশেপাশে এমন কিছু মানুষ আছে যারা সামনে আমার প্রশংসা করে কিন্তু আড়ালে আমার নামে মিথ্যা অপবাদ ছড়ায়। আজকের কবিতা সেই সকল মানুষকে উৎসর্গ করলাম, যারা আমার পিছনে বিনা বেতনে চামচাগিরিতে ব্যস্ত। সে সকল অবৈতনিক চামচাদের জন্য রইলো ঘৃণা।