কখনো ভাবিনি তোমার পেছনে আমি
ছায়াকে মাড়িয়ে যাবো,
সিঁড়ির শেষ ধাপে বাড়িয়েছ উষ্ণ করতল
এখনো মনে হয় মাঝরাতে।
গোপনে তছনছ সমস্ত শরীর আমার
বৃহৎ অট্টালিকার ভিতরে,
লুটোপুটি খায় শ্মশানের শিমুল
বাগান বিহীন পাতা শোকের বাতাসে।
আমার দুচোখ তোমার মায়াবী দর্পণে
নতজানু হয়ে মরে আগুনের গহ্বরে,
চোখ ভরা জলে গোগ্রাসে গিলবে
আমার সাজানো বসন্ত কালো থাবা এসে।
তুমি সুখী হও, আমি আজীবন ডুকরে কেঁদে যাবো
আকাশ ফাটিয়ে বুকে
কখনো ভাবিনি তোমার পেছনে আমি
শতবার ভিজে যাবো শ্রাবণের প্রাতে।