(প্রাপক, রংপুর টাউন হল)
রুষ্ট সময়ের দাপটে আহত হয়ে
ছুটে যাই সাহিত্য মঞ্চের গুহায়।
ভেতরের ক্ষতগুলো চিৎকার করতে করতে
বড্ড ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে আজ।
চে গুয়েভারা অপলক তাকিয়ে দেখছে
আমার চোখ; না না শুধু চোখ নয়,
আমার বুক পকেট এর চিঠি আর ক্ষুধার্ত কুকুরের চাহুনি-
চা ওয়ালা মাহাবুব এর বুক থেকে।
মাথা ঘুড়িয়ে দেখলাম,
এখানে আমি একা নই।
কবি, সাহিত্যিক, প্রেমিক প্রেমিকা, মার্ক্সিষ্ট,
অভিনেতা, নাট্যজন আর অসংখ্য সংগ্রামী তরুণ তরুণী
কোমল লতার মত জড়িয়ে আছে একে অপরের সাথে।
সবাই চায়ের কাপে ধোঁয়া তুলছে আর
অপেক্ষামান - জীবন পরিবর্তনের জন্য।
পাশেই লাল আবরণে ধ্যানমগ্ন তাপস,
একেএকে আলিঙ্গন করবে সাধনার মায়াজালে।
সন্ধ্যা ফিরে আসে ধীরে
এই জনারণ্যে কোলাহলে।
তবে কি ভাস্করের প্রতিটি মুর্তি
অভাবের অনলে পুড়ে পাথর হবে?
বকুল তলায় বসে একা-একা কথা বলি
অন্ধকারে জোনাকিরে কাছে পেতে ইচ্ছে করে।
মাথা তুলে আকাশের তারা গুনে ভাবি
হয়তো একদিন কোন এক অপ্সরী এসে বলবে,
বসন্তের কবিতা শোনাও কবি এই টাউন হলের সূতিকাগারে।