ক্লান্তি লগ্নে সব ভুলে গেছি
কখন কােথায় ছিলাম
কেনো ছিলাম আমি
আজ কেনো আর নেই।
প্রশ্ন করতে পারো তুমি
আমি আজ কোথায় নেই?
যানতে চাইবে তুমি
তাও যেনে নাও এখনই।
আমি ছিলাম যৌবনের কান্ডরি
কিশোর বেলায় উতপ্ত হওয়া
চৈত্রের দিবালোকের হাহাকার
পৌষে দিবারাত্রি যাযাবর।
আমাকে রেখেছ তুমি
ঠিক উঁচু নিচুঁ পাহপড়ার চুড়ায়
কখনো রেখেছ হিমালয়
ভাষিয়েছ মেঘনার জল স্রতে।
তখনো বহমান ছিলাম আমি
তোমরি শিরের আগাছা হতে
মেঝের রেখায় স্মৃতিচারন
এতোটুকু ছুঁই ছুঁই সানিধ্যে।
তখন তুমি ক্লান্ত ছিলে বলে
প্রতিবার করুনা চেয়েছিলে
আমার অস্ত্রের সহকারি হতে
এখন তুমি কি হলে সব ছেড়ে?
মায়াবি জোছনার এই রাত
শিশীরের ছুঁয়ে দেওয়া মাঠ
জোঁনাকিদের হাতে রাখা হাত
এলোমেলো সেই পথ-ঘাট।
এখন সব ভুলতে হলাে
সময়ের পালাবদলের সাথে
অবিসপ্ত মহরের ফুটপাতে
অনাহারে আজ দিন কাটে।
কে খােঁজ রাখে আমার
করুনা করতে পারিনা বলে
আজ নেমেছে এই আধার
ঘুম হয়না আর গাড়ির শব্দে।
মাঝে মাঝে বসে ভাবি
সে দিন গুলো কােথায়
তবুও আজ বেস আছি
পরেথাকি কার ছলনায়?
ভাবনার স্মৃতি শুধু ভাবায়
মনও বারবার ফিরে চায়
লোকে দেখে বলে হায় হায়
আমি বলি সে আছে কোথায়?