রোজ প্রভাতে,
যখন মিনারের ধ্বনি আসে
তোমার শ্রুতিধর কর্ণে
তখন তুমি আমারে,
আলতো হাতের স্পর্শে
তালু লাগাবে মোর ললাটে
জাগাবে মনে করে কমলে।
দেখব তুমি মোর শিয়রে
দেখছ অপলক দৃষ্টিতে
যেন অনেক দামী হয়ে
কোটি তারার ভীরে
শুধুই আমি তোমার দু'ঠোট-আঁখিতে
নয়নে,বলনে-চলনে আর মুচকি হাসিতে
শরীরের প্রত্যেক সুবাস ভঙ্গিতে
জড়াবে আমার মনেরে।
মনের মত মানুষ দিও মিলিয়ে
যার কল্যাণে কোকিল গাইবে
বসন্তের রক্তিম কৃষ্ণচূড়া ডালে,
মুগ্ধ হবে সবাই যার ব্যবহারে
অল্পজেনে অধিক আমল করবে
যেন অনেক বড় সুশিক্ষিত সে।
আর সেই নারী ডাকিও এসে
শরতের শুভ্র কাশফুল বনে
মন মাখানো বীজন গতিতে
মুগ্ধ হয়ে যেন পাই তোমায় খুঁজে।
মনটা আজ উতলা হয়ে আছে
কবে পাব যে ভর দিবে মোর কাঁধে
দু'জীবনে একসাথে থাকার টানে।
রাগ ভাঙাতে,
বলবে সামনে হাজির হয়ে
দু'হাত দিয়ে আলতো চিবুক ধরে
এত রাগ তোমার কিসে
হঠাৎ জড়িয়ে ধরে বুকে
ভিজাবে গাল চোখের জলে
অস্ফুটে আধ আধ বলে উঠবে
রাগ করলে আমায় ভালোবাসবে কে?
তুমি আমার শয়নে স্বপনে
কেন ব্যকুল হয়ে এখন এ লগ্নে
শুধু তোমার ডানায় ভর করে
দিন যায় ফুরে ক্ষণে ক্ষণে
মন কেন খুঁজে ব্যস্ত হয়ে
হে অজানা নারী তোমাকে।
তুমি শূন্য হাতে আসিও
শুধু মনটা যেন থাকে পরিপূর্ণ
সম্পদ চাই নি চাইব না কখনও
শুধু তোমায় মন ভরে দেখিবো
আর মনের কথা খুলে বলবো
যেন ছেড়ে যেওনা মোরে কখনও
কেননা সে কারণে যে ব্যথা পাবো
শুধু আড়ালে ফুঁপে ফুঁপে কাঁদবো
তাই শান্তনা বাণী শুনিও
সাথে তুমি হেসে আমাকে হাসিও।
প্রথম রজনীতে হাতে হাত রেখে
নিজ নিজ বিশ্বাসে ভক্তিকে শক্তি দিয়ে
মঙ্গল কামনায় সুদূর ভবিষ্যৎ পথে
আজীবন চলার মন বাসনা পূর্ণ করে
অতীতকে কিছু সময়ের জন্য চূর্ণ করে
একসাথে থাকব মিলেমিশে।
তুমি যদি চাও তবে,
গোলাপ ফুলের মালা গেঁথে
পড়াব তোমার গলে।
আরও বলব কথা
নির্জন নিরিবিলি একা
যখন রব একসাথে শুধু দু'জনা
একটি সুন্দর গোলাপ হলেও অজানা
তোমার সম্মুখে দাঁড়ায় বা বসা
বলব ভালবাসি হে প্রিয়তমা।