যেথা আছে অতল তলে হেরে যাবার ভয়,
মাঝ দরিয়ায় কখন কি হয়,
নীলতিমি মুখ হা করে রয়,
শতশত বিষাক্ত মাছ-সাপের সংশয়,
সেখানেও দেখ মানুষের আনাগোনার জয়,
তোমাকে ডাকছে সে মহাসাগর যুদ্ধ-বিজয়,
ঘুরে দাঁড়াও কঠিন সম্ভবনায়।
যার গতিবেগে নৌকার পাল ছিড়েঁ খান খান,
তবুও মাঝির শক্ত হাতে বৈঠা আর গান,
জীবন বাজি রাখাই তাদের মান-সম্মান,
অন্যের তরে জীবন বিলাতে কার এ অবদান,
ডাকছে প্রয়লংকারী হিংস্র সে তুফান,
শেখ পরের উপকারের দান চির অম্লান,
কল্যাণে মরণ যেন যায়।
ছোট শিশু কত আছার খেতে খেতে,
হাঁটতে শেখে হাঁটুপায়ে ভর দিতে দিতে,
অল্প-অস্পষ্ট কথা বলে মা'র শিখানো সযত্নে,
কত বিরক্ত সহ্য করে সে পরিবারে,
কত দাবি দাওয়া আছে বল আমারে,
সবকিছু এনে দিব দিনের অবশেষে,
তবুও কাঁদিস না বাবা ও আমার মা'রে,
আমাদের খেয়ে নিজেরা না খায়।
কত বৃষ্টি-বাদলা দিনে,
কিংবা রোদ তীব্র শীতে,
হুড়হুড় করে কাঁপতে কাঁপতে,
অথবা ঘাম ঝরে গ্রীষ্মের দুপুরে,
মাঠে যায় দেশের ও দশের জন্যে,
নিজের শ্রমের টাকা নিজেই পায়না খুঁজে
আবার ধৈর্য্য-সাহস নিয়ে ফিরে মাঠ-ঘাটে,
কৃষক কাটায় জীবন বেহাল অবস্থায়।
কত চিত্র চোখে পড়ে আমাদের,
যেথা যাও বাঁধা আসবে তোমাদের,
সেটা হোক কল্যাণ কিংবা মন্দের,
যদি চাও এগে যেতে পথ সামনের,
অতীত কি বলেছিল ,দুঃখ ক'দিনের,
তুমি ফিরে আসো সেই পথ নতুনের,
ঘুরে দাঁড়াও নিজ নিজ পায়।