ফিরে পাব না সেই   হারানো শৈশব
হারানো সব খেলার আসর
খেলায় আসত  কত  বদমাশ লম্পট
সেথা গা মাখামাখি ধুলোয় আতর।

সামান্য সময়ের ব্যবধানে আজ
কোন দুয়ারে পৌঁছে
দুনিয়ায় কত ব্যস্তময় ঝঞ্ঝাট কাজ
সময়ের দূরত্ব দেখায় এ সন্ধিক্ষণে।

শৈশব স্মৃতিকথা আজও মনে পড়ে
একসাথে খেলতাম বিকাল বেলা
ছেলেমেয়ে একসাথে হাতে হাত ধরে
কত খেলা খেলতাম দিত না তো কেউ বাঁধা।

বৃষ্টির পানিতে যখন  ভিজতো সবাই
আমাকে করিত মানা
মা'কে বলতাম, আজকে শুধু যাই
আর কখনও ভিজব না।

আজ সেই সব স্মৃতি পেরিয়ে
কতদূর পথ হাঁটছি
শৈশব,কৌশরকে ছাড়িয়ে
যৌবনের পথে পদধ্বনি শুনছি।

যৌবনের রঙিন মোহ জীবনের বাঁকে বাঁকে
এনে দেয় অনেক অভাবনীয় চিন্তা
হারিয়ে যায় মন দিবা স্বপ্নালোকে
হঠাৎ সাদা গগনে কালো মেঘের ঘনাঘটা।

সময়ের ছোট্ট বেড়াজালে
কত কিছুর আশা বা হতাশা
এখনও সাঁতরাতে হবে
প্রলয়ঙ্কর সমুদ্রে যতসব বাঁধা।

সময়,সভ্যতা,কৃষ্টি কালচার-সংস্কৃতি
আর আধুনিকতার ছোঁয়ায়
অনেক পরিবর্তন সময়ের বন্ধন হায় কি
স্ব চোখে দেখতে পাই।।

জীবনের এক একটি  স্তর
এক একটি রূপে আবির্ভূত হয়
উল্টে-পাল্টে সাজিয়ে দিয়ে বর
কিংবা বীরত্ব,দূর্গম কাটাবিদ্ধ পথ ভয়।

তবুও সুন্দর ভবিষ্যতের আশায়
নতুন করে কলম ধরি
স্মরণ করি সে সফলতার নেশায়
দিব সেই সমুদ্র পাড়ি।