ধবল দুধের মতো আকাশ
নিমিষেই আঁধারে ঢাকতে পারে,
শতকোটি তারার মাঝে চাঁদ আলো জ্বালায়
রাতের তমসা দূরে তাড়িয়ে,
অন্ধকার-আলো যে সবসময়
তোমার আশেপাশে ভীড়াবে।
প্রিয়জন চলে যাবে যতসব
তোমাকে একাকী করে,
জীবনে আসবে নতুন প্রজাপতি
আজীবন ভালোবাসবে বলে,
কাউকে হারানো আর কাউকে পাওয়া
এটাই প্রকৃতির নিয়তি নিয়মে।
লক্ষ্যে অটুট শেখায় দীপ্ত আশা
যা সুন্দর করে জীবনকে,
হঠাৎ কোন পথে যেন আসে হতাশা
পড়ে যায় জীবন সংকটপূর্ণে,
এই আশা-হতাশা-নিরাশা কতকিছু
জীবন ভাঙ্গায় সময়ের স্বল্পে।
যে অস্ত্র তুমি অন্যের বুকে ধরি
বলতে দূরে থাকা ভালো একাজ থেকে,
কখনো জানাছিল না যে সেই তুমি
সেই অস্ত্র নিজ বুকে তাক করবে,
কথা বলা-আর মানা একনয় তফাৎ অনেক
যা নিয়তির খেলা দেখিয়াছে।
কেউ কৃষাণ খেঁটে খায় কষ্টেভরা দিন
সংসার চালাতে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে,
আবার কেউ বসে সবে কাটায় ক্ষণ
সুদ-ঘুষের অবৈধ ব্যবসায় বসে,
হালাল-হারামেরর পার্থক্য বুঝ
সঠিক পথে জীবনকে রাঙাতে।
রোজ প্রভাবে সূর্য ওঠে আবার ডুবে যায়
মহান স্রষ্টার হুকুম তামিলে,
আলো জ্বালায় স্বাভাবিক নিয়ম
আর অন্ধকার করে বিদায় নেয় শেষে,
তোমার জীবনও কখনো আলো বা আঁধার
নামবে কর্ম আর নিয়তির পাল্লাতে।
পৃথিবীর জগতটাই যেন আলাদা
কখন কি হয় বুঝা বড় দায়,
নবীন-বুড়ো,সাদা-কালো,আঁধার-অন্ধকার,দুঃখ-হাসি,,আশা-নিরাশা,হালাল-হারাম,বাঁচা-মরা,সাহায্য-অত্যাচার,অতীত স্মৃতি-ভবিষ্যত চিন্তা,ভালোবাসা-ঘৃণাসহ
আরো কত বিপরীত রং করে খেলা
তব চারিপাশ জুড়ে হাজার স্বপ্ন নাড়ায়।