বসুন্ধরা বসবাসে বাঁধা তার
কে কোন দিকে ছুটে,
কত যে ঘাত-প্রতিঘাত যন্ত্রনার
করুণ দৃশ্য আসে কোত্থেকে।
কথার আঘাত খুব বড়
মান কি তা সবে,
কন্ঠে আমার কাঁটা বাঁধো
কখন,কি উপায়ে।
তুমি বার বার পাবে
সহস্র ব্যর্থ অনুদান,
বল না সবার মাঝে,
একত্রে করে আহ্বান।
কত জল পড়েছে তোমার
নিজ আয়তলোচনে,
দেখবে তুমি হতে সুকুমার
থাকবে না পানি নেত্রে।
হারাতে চাও জগতমুঠো
জগৎ নাহি ছাড়ে,
কন্ঠে তোমার তেজদীপ্ত
বুড়ো কেন আজ কাঁধে।
তুমি কেন ধৈর্যহারা পথিক
কেন আবেগপ্রবণ,
তোমার মাঝে অসংখ্য জ্যোতি
তবুও কেন এই ভাঙ্গা মন।
তুমি বারংবার মৃত্যুর কোলে
ঢলে পড়তে চাও কেন,
তুমিই কি শুধু একজনে
যে বাঁধা অতিক্রম করতে জানেনা এখনও।
তোমার চিন্তাকল্পে
যেন মৃত্যুই সমাধান,
জানা মুশকিল যে
বাঁচাব কিভাবে আমার প্রাণ।
তুমি চাও তোমার জন্য
কেউ পাশে না দাঁড়াক,
আর চাও খাব না তাও হব শূন্য
নিজের দ্বারা উপকার পাক।
তুমি চিন্তায় আন সেই কথা
যে পথে চলে গেছে অনেকে,
খবরে দেখায় নিজ নিজ ভাষা
সুসাইড করার পূর্বে লেখা ব্যথাতে।
তুমি কেন হেরে যেতে চাও
নিজেই নিজেকে কর জিজ্ঞাসা,
পড়েছ মরণ ফাঁদে যেন স্রোতের নাও
উল্টিয়ে নষ্ট মাল সামানা।
তুমি মারা যাবে সত্যিই একদিন
কিন্তু সেই দিন যদি আজ হত,
মুনসি-মাওলানা আসত দাওয়াতে দ্বীন
তবে অনেক কষ্ট উড়ে যেত।
আক্ষেপ হায়
তোমার জীবন যায় যায়
নাকি একেবারেই ঝরে যায়
ফুল ফোটার আগেই মরে যায়।