নিরবধি শব্দ চূড়ায় শব্দ কাঁদে অযত্নের কষ্টে,
অতৃপ্ত কলমের ডগায় স্থির হয়ে থাকে অপেক্ষায়|
চিলে কোঠার এক কোণায় কোন এক নতুন আত্মার
মৃত্যু যন্ত্রণা মুচড়ে উঠে কারণে অকারণে,
না দেখা মধুর ভেতর বিষ পান করার প্রয়াসে একবার,
থরথর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবো অন্ধমোহে|
প্রথম যৌবনের প্রথম সর্বনাশের দিন পঞ্জিকা,
লিখেছি আপন হাতের মুঠোয়|
হাতের এপিঠ ওপিঠ কাটতে হবে পুরনো ব্লেডে,
ওই হাতে আর কাউকে ফুল দেব না!
কাটা চামচের নির্মম আঘাতে ঠোঁটের চারপাশে রক্ত গড়াবে,
আর কোন রমণীকে চুমো খাবে না এ ঠোঁট!
স্মৃতিময় কঙ্কাল আমি শব্দ করে হাসবো না কোনদিন,
ছন্দের মূর্ছনায় তরঙ্গ থেমে যাবে বোবার মতো|
চেনা রাত গুলো অচেনা ছায়াপথে নিরবতার
শোকমিছিলে বয়ে আনবে অদৃশ্য চাপা যন্ত্রণা|
চোখের পরে একটা স্বপ্নের খুন প্রতিদিন বাড়বে,
বুকের উনুনে ক্ষয় হবে অনুভবের রঙমশাল|
তবু থুতু মাখা একদলা রক্তের ভেতরেও হয়তো আমি
কথার ক্যানভাস সাজাতে চাইবো|
কোন সকালের গড়িয়ে পড়া দুঃখ,দুপুরে পুড়তে থাকা মরণ,
বিকেলে ধূপছায়া নিঃশ্বাস,রাতের অনন্ত শয্যা গ্রহণ,
এসবই আজ আমার আত্মহননের শেষ পথ,আমি জানি|
আমার গলিত রক্ত মাংসের ভীড়ে হৃদয়ের
প্রশ্নবিহীন কষ্ট কেউ খুঁজবে না হয়তো,
তবু কেউ আসে যদি,জেনে নিও তারা আজ
মিশে গেছে পৃথিবীর পুরনো হাহাকারের সাথে|