হয়তো সর্বনাশের মৃদু আচড়ে আমায় পাবে না একদিন,
চেনা রাস্তায় রিক্সার চাকায় তোমার আঁচল জড়াবে না সেদিন|
কোন ভোরের স্বপ্ন টেনে,বিকেলের অলস ঘুমে অথবা কোন ছুটিরদিন,
জড়াবো না নেশার তরুলতায় তোমার কোমরে অমলিন|
কোন সকালে সন্ধ্যার মোমের আলোয় আমার ছবিতে তোমার চোখ,
শিউরে উঠা প্রথম শপথের কাঁচা ঠোঁটের প্রথম চুমো,
নবীন মেঘের কল্প কেশে দুহাতের এলোমেলো যোগ বিয়োগ,
বাক বন্দীর অবিধানে আত্ম ইতিহাসে তখন ঢেউ আনবে অপূর্ণ|
শিশির স্নানে পুষ্প কাটায় ঘুমন্ত শরীরে তোমার চিবুক ছুঁয়ে,
পরিপাটি বিছানার অদূরে আমার রাখা চায়ের পেয়ালা সাথে চিরকুট ,
জেগে উঠে আমাকে না পেয়ে প্রেমের সিদুঁরে অভিমানে পড়তে নুয়ে,
অতীব চঞ্চলতায় একাকী শ্যামলিমার গন্ধ মেখে অপেক্ষা গুনতে রাত্রির নিকট |
মিছে নালিশের অবহেলায় ফুটপাতে নীল তারা ফোটে ,
রুপোলী কয়েনের চাঁদ শুয়ে পড়ে গন্ধ মেখে কুয়াশা ধোঁয়াটে |
এমন রাতে চিঠি লিখে তোমার কপালে,
প্রেমের ক্যানভাসে অভিমান শান্ত হলে,
শখের যৌবনে টিয়ার সবুজ পালক তুলে বোকা হাসি লিখতাম ঠোঁটে,
জলের আরক্তিম নিঃশ্বাসে ঘাস ফুলের রক্ত যেন নেচে উঠে|
এমন অসহ্য রঙের রঙধনু থাকবে বেঁচে ডায়েরীর মানচিত্রে,
সংসারের চিরকুমার কঙ্কাল কিছু রয়ে যাবে চেনা সময়ের পরিবর্তে|
সব ভুলে গিয়েও যদি বর্ষা শিহরণে জল আসে চোখে,
সকল বোঝা পড়া শেষে এক নিমেষে,
শক্ত ছুরির আঘাতে মেরে ফেলো আমার অতীত কায়াকে!
কি লাভ বলো মৃত লাশের শরীর থেকে আমার আত্না পুষে!
আমিও সেদিন জড় বস্তুর মতো দেহহীন কাব্য স্মৃতি বয়ে আনবো না কোনদিন,
রক্ত শিরায় কম্পন থেমে গিয়ে সর্বনাশের মৃদু আচড়ে নিঃশেষ হবো যেদিন||