ইর্ষাণ্বিত ভালোবাসায় সন্দেহ থাকে কথার ঠোঁটে,
অন্তরের নিঃশ্বাসে,চোখের বিশ্বাসে,
এই বুঝি বাঁকা প্রদীপের সাজানো নাটকের ছায়া,
এসে পড়ল হৃদয় মাড়ানো বাসন্তী নগরীতে|
সবুজ পাতার প্রতিবিম্বে যেমন ঘোলা হয় পুকুরের জল,
তেমনি অশুভ প্রশ্রয়ের আশ্রয়ে ভাসে এক টুকরো গল্পে অল্প|
সময়ের ঘর্ষণে ভাবতে মানা নেই নষ্ট চাঁদের বলিরেখা,
দ্বৈত সত্ত্বার এক সত্ত্বা চোরাবালিতে ডুবতেই পারে একা|
এক হৃদয়ের নির্ঘুম রক্ত চক্ষু দেখেও সে চোখ মেলতেই পারে,
বুঝতে পেরেও স্বচ্ছ আকাশে নীল তারা দেখবেই আঁখিপাতে|
পোড়া মনের উত্তাপ রাজপথে মৃত আত্মায় পিশে গেলেও,
শ্রাবণী কান্নায় আসবে না শান্তনা ছুঁয়ে দিতে কপালে|
জানি সব দুঃখের উনুনে জল ঢালা যায় না,
তবু মায়া থাকে কারণহীন অকারণ কষ্টে কেউ বুঝবে তাকে,
শব্দ করে হাসলেও চোখের ভেতর ঝর্ণা বইছে আজ আড়ালে,
অব্যক্ত কথার হুইসেল বুঝে নেবে মনের আয়নাতে|
এমন ভাবনার সকালে সন্ধ্যা নেমে আসে অকালে,
বুঝতে পারি অর্ধেক চাঁদে বৃত্ত হয় না চাইলে|
বোকা সন্দেহের বাগানে যদিও আসে সত্য,
তবু মসৃণ পাথরে ছক বাঁধে উচু নিচু দেয়ালের মতো,
তখন এমনি হয় ইর্ষাণ্বিত ভালোবাসায় দ্বৈত সত্তার অস্তিত্ব|
উৎসর্গঃসেই রমণীকে যে আমাকে ইর্ষাপরায়ণভাবে ভালোবাসছে আর আমি যেন প্রতিদিন তার কাছে একটু বেশি ঋণী হয়ে যাচ্ছি|