পাশের বাড়িতে এক নতুন বউ এলো নামটি তার অনুপমা,
চন্দ্রশিখার মতো মুখখানি তার মেঠো মায়াবীর প্রতিমা|
চোখ দুটো তার শরৎ মেঘে ভর করে,
পাপড়ি উঠোনে শ্যাওলা জলের ঝর্ণা আনে,
শিমুল তলায় বসলে কখনো আঁচল লুটায় কাঁধের পরে,
কী যেন কী অলেখ্য পাতার পৃষ্ঠা উল্টে ভাবে সে আনমনে|
কুয়াশার নীল ঘন তেপান্তরের বাতায়নে,
অপেক্ষায় থাকি এই বুঝি তাকাল সে মোর পানে,
এই বুঝি দীর্ঘশ্বাসের বলি দিয়ে,
হৃদয় রবি হাসবে এখনি,
মৃত্যু মাধুরীর কান্না চেপে হাসেনি সে,
জীবন তাকে হাসতে শেখায়নি|
কোন এক নাগরিক বিকেলের অগোচরে,
ডাক দিলো সে জানলাটির পরে,
মিছে হাসির প্রয়াসে বলল সে' এসো ভেতরে,
কথা আছে অনুচ্চস্বরে,থেকো তুমি চুপটি করে' |
বিরহের সপ্তচূড়া মেলে তুলল যেন চোখের ক্যানভাসে,
অনুরাগে উথলিয়া হঠাৎ হাতটি ধরলো পরম বিশ্বাসে|
আমি সেই প্রথম দেখলাম তার হিয়ার ভেতর,
মলিন টিয়ার চমক হাসি,
চোরা ফুলের ছায়ায় জোছনা অতিথির,
কাঁপা রোদ্দুরে নীল সিন্ধু পাখির শশী|
প্রভাতের কোলে শুকতারা ঘুমায় ব্যস্ত শহরে,
থর থর দ্বিধা লাজে আমিও মালা গাঁথি গোপন অভিসারে|
জানি এই বৈষম্য প্রেমে নেই কোন নীতির ফিতা,
ভাবি আমি ঘৃণার করুণ উল্লাসে শেষ হবে কি তা?
ইশ্বর জানে পোড়া মনের ভূকম্পনে করবে কি মার্জনা,
প্রেমের দুয়ারে বৈধতার সুতা মানা তো যায় না|