হঠাৎ থমকে গেল রক্তের স্পন্দন!
চিরচেনা বরফী হাত আজও উষ্ণতাহীন|
মেঘ রোদ্দুরের সঙ্গম আজও অর্থহীন|
অতঃপর আরো একটি ফাল্গুনের নির্দ্বিধায় আগমন!
হাতে নেই কোন বাসন্তী চিঠি!
মৌন মধুর পুরনো সঙ্গীতই শোনাতে এসেছে|
কুমারী বসন্তের আরো একবার বয়স বাড়ল তবু তার যৌবনের কোন ক্ষয় নেই!
বসন্তের যৌবন ব্যবহারের ক্ষমতা হয়তো আমার হবে না কোনদিন|

হয়তো এর উপযোগী নই আমি,
তাই তো ছুঁতে পারিনি স্পর্শ চুম্বনে গোলাপের পাপড়ি,
অথবা রজনীগন্ধা!
আমি চিরদিনই অছুত্যই রইলাম তাদের কাছে|
তাই তো ফাল্গুনী ফুলেরা রয় না ফুটে আমার অপেক্ষাতে,
দীর্ঘকালের শয্যা হতে|

পিয়ানোর অন্তরে আবদ্ধ সুরেরা আমার নিকট আসার আগেই ছুটি নিয়েছে|
তাই আমি রয়ে গেলাম তরঙ্গহীন সময়ের সাক্ষী|
ফুলের অভাবে মধু সঞ্চিত করেনি ভ্রমর মৌচাকে|

এখন এমনই কাটবে বেলা,
থাকবে না কোন চলমান কথামালা|
সঙ্গীহীন বসন্তের আঁচলে অতৃপ্ত শূন্যতা নিয়ে|

বসন্ত এসো না তুমি মোর আশে পাশে!
তোমায় যত্ন করা হবে না মোর মুগ্ধতার আপ্যায়নে|
তোমাকে গ্রহন করতে আজও আমি অক্ষম|
যদি পারো নিয়ে এসো এবার সক্ষমতার দলিল|