নগ্ন জোছনার শ্বেত শিহরণের নিকেতনে,কোন এক দ্বীপের নির্জনে,
উথলা রাতের রূপকথার ঘুম মুছে,ভাবছি তোমায় নিয়ে|
নিজের ভেতর দেখছি ছুঁয়ে তৃষ্ণা প্রবল অন্য আমিকে,
সোনার কাঠির চমকে বদলে উঠছে তোমার মুখখানি,
তোমার শিশির শরীরের ছন্দে ডুবছি যেন অন্তপুরের মায়ালোকে,
নিশিথ পিয়াসে পান করি বারেরবার তোমার লজ্জাখানি|
আর্দ্র ছায়ায় রঙধনু নিয়ে বনদেবীর ঘুম পাড়িয়ে,
যৌবন তরণীতে তোমার বৃন্ত ফুল ফুটিয়ে,
চাঁদোয়া নিশ্বাসের রক্ত আলোতে আঁকছি তোমায়,
নবীন ললাটে মেঘের সিক্ত চুম্বন সরিয়ে গড়ছি তোমায়|
অনুভবে বাক্যহীন তোমার চোখের পরে,
আমার পাপড়ি যুগল সহসা কেঁপে উঠে,
আদরের সিক্ত আঙুলের জল গড়ায় তোমার শিয়রে,
আঁধারের ঘুড়ি অনায়সে উড়ে বেড়ায় জোনাকির ঠোঁটে|
ডাহুকের কণ্ঠ থামিয়ে ওগো নীলকান্তমণি,
আবদ্ধ হয়ে থাকি সুরের অসুখে শুনতে তোমার কণ্ঠধ্বনি,
জোছনা বরণ ফাগুনের চাষে ফলাই কতো ফল,
সবখানেতে তোমার অমল চিত্ত বিচরণে ফোটাই পদ্ম কমল|