একটি শুভ্র সকালের অভুক্ত কাক এসেছে মোর কাছে,
হয়তো কিছু দেনা পাওনা আছে মোর সাথে,
অপ্রাপ্তির ফেলনা খাবার কিছু হয়তো পাওনা রয়ে গেছে,
প্রভাত তারার আলো ছায়ার ফাঁক গলে এসেছে তাই পাওনা মেটাতে|
একটা নদীর নীলান্ত অন্তরে মৌনতার মন্ত্র গীতে অপেক্ষার দৃষ্টি রাখে,
কিছু ক্লান্তিময় তিক্ততার অবসাদ শোনাবে বলে আমাকে|
গাঢ মাটিতে নগ্নতার উচ্ছ্বাস ছটফটিয়ে আমিও বলবো তাকে,
বিষাক্ত চোখের জল চাপিয়ে কল্পলতায় দীপ্তিময় করবো নিজেকে|
চৈত্রের নিষ্ঠুর আকাশ ঝলসানো পোড়া হাওয়া দেয় ছড়িয়ে,
আপাদমস্তক তৃষ্ণার চুমুকে শুকিয়ে নিতে থাকে মুখিয়ে|
চাইতে পারিনা শীতল শিশিরে মোড়া পৌষের ক্যানভাস,
তবু পাওনা থাকি কণ্ঠে নিয়ে অতৃপ্তির হাসফাস|
একটা রমণীর কুসুম হৃদয়ে ভালোবাসার অমরাবতী রাখে তুলে,
মধু মুকুলে ভরা তার সবখানি ধ্রুব বীজ আমায় দেবে বলে;
নিতে গিয়েও দ্বিধায় থরথর কাঁপি,যদি না পারি দিতে রসস্পর্শের সবটুকু শোধ!
যদি না পারি চঞ্চলিকার আঁশ মেটাতে,কি করে মনকে দেব আমি প্রবোধ!
শীর্ণকায় শরীরে দীনতা মুখে,ভিখারী বলে যারে লোকে,
বেঁচে থাকার আকুতিতে পেটের পূজো দিতে,সেও আমার কাছে পাওনা থাকে|
যে শিশু আসেনি জটিলতার ধরণীতে,তারও আছে অধরা সময়ের দাবি জানি,
নিয়ে লজ্জার বেণী ভাবি আরো কিছু পাবো আমি,ফের ভাবি নিত্য লগ্নে ঋণী আমি|