মৃত চোখে নাকি আকাশ দেখা যায় না!
আজকাল বোধ হয় দেখি,
বুকফাটা নির্বিকার চৈত্রের আকাশ|

অতীতের কাঠ খড় গুলো পুড়তে থাকে,
টেবিলের কোণায়,বইয়ের পাতায়,কবিতার ছন্দে|
পুড়তে পুড়তে অঙ্গার হলে,
নতুন করে বেঁচে উঠে তারা|

জানালার কপাট খুলতে মন চায় না,
যদি অবাধ্য বসন্তের উদাসীন আলো ঢুকে পড়ে কপাল ছুঁয়ে!
যদি নির্লিপ্ত চোখে ভেসে উঠে,
চায়ের ফাঁকের মন্থর বিকেলের অপ্রস্তুত আগমন|
তবু আজকাল কখনো হঠাৎ খুলে ফেলি প্রিয় জানলার কপাট|
দেখি অযত্নে বাড়তে থাকা কিশোরী চারা গাছ গুলো|
এখন আর গাছের গোড়ায় পানি ঢালা হয় না নির্ঘুম ভোরে,
অথবা বিকেলের অবসরে|
প্রতিটি কিশোরী গাছ যেন একেকটি মূহুর্তের পৃথক পরিচয়|

ঝুল বারান্দার চেয়ারটা প্রতীক্ষায় দিন রাত্রিতে,
জমেছে ধূলো বালি আর মশার উৎপাত|
আজও সেখানে দু একটা বই খাতা  পড়ে আছে,
হয়তো ওগুলো আর পড়া হবে না কোনদিন,
অথবা প্রয়োজন নেই কিছু দরকারী অনুভূতি লেখার|

সপ্তমীর চাঁদ উঠলে গুন গুন গুঞ্জরনে মাতোয়ারা হয়না,
জোছনাময়ী তারা আর চিলে কোঠার চারদিক|
আজ শুধু এখানে অশরীরী নিঃশ্বাসের ভয়াল চিৎকার|
তাজা রক্তের আগুনে কখনো ঝলসে উঠে ঘুমন্ত অন্ধকার|

হয়তো আমার চোখ,ঠোঁট ,হাত ,পা সবই মৃত|
তবু এসবই দৃষ্টিগোচর হলো আমার|
বুঝতে পারছি না কেন দেখছি এসব নাকি দেখছি না?
নাকি আটকে আছি অন্তর্জালের ঘূর্ণিতে?
মৃতরা এসব কখনো দেখে নাকি!
বোধ হয় দেখছি আমি কিন্তু দেখছি না||